শাহী কামরানঃ 

চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ১৬ জানুয়ারি দুপুরে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। আহত ছেলেটির নাম মোঃ রাহী, বয়স ১৮, ফেনীর সোনাগাজী থানায় নিজ বাড়ি তবে হিলভিউ আবাসিক এলাকায় একটি মেসে তার বসবাস। চট্টগ্রাম নগরীর এমইএস কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। কলেজের দু’পক্ষের মতবিরোধের কারণে আক্রমণের শিকার হয় ছেলেটি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাহী এখন আশঙ্কামুক্ত। ছেলেটিকে আহত অবস্থায় তুলে হাসপাতাল পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কক্সবাজারের ঝিলংজার মুক্তারকুল এলাকার পুলিশ কনস্টেবল শামসুল আলম।
একজন কলেজ ছাত্রকে প্রতিপক্ষ একদল তরুণ ধারালো ছুরির আঘাতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করছে শহরের ব্যস্ততম রাস্তায়। শতাধিক মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখছে ছেলেটির রক্তক্ষরণ আর গগণবিদারী আর্তনাদ। কিন্তু কেউ এগিয়ে না আসলেও এসেছে একজন মানুষ। ছেলেটিকে রক্ষা করে নিজের গায়ের শার্ট খুলে বেঁধেছেন সেই ছেলেটির রক্তাক্ত পা। এরপর কোলে তুলে সিএনজিতে করে নিয়ে গিয়েছেন হাসপাতালে। মানবতার অদম্য উৎসাহী মানুষটির পরিচয় তিনি একজন পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ লাইন্স থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে নিজ কর্মস্থল ফয়’স লেক তদন্ত কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন কনস্টেবল শামসুল আলম। পথিমধ্যে এ ঘটনা দেখে মানবিকতার হৃদয় কেঁদে ওঠে তার। অধিক রক্তক্ষরণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। আবার তাঁকেও আক্রমণ করতে পারতো দুস্কৃতিকারীরা। সকল ভাবনা উপেক্ষা করে শুধুমাত্র দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি এমন অসাধারণ কাজ করেছেন। পুলিশ সদস্য শামসুল আলমের এমন মহানুভব কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাহীর পরিবার ও সুধীজনেরা।
ঘটনার পর থেকে এর ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়। তার এমন সৎ কর্মে পুলিশ গর্বিত সাথে কক্সবাজারবাসীও খুঁজে পেলো একটি রত্ন।