বিশেষ প্রতিবেদকঃ
আসন্ন উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইসচেয়ারম্যান পদে তরুণ ও যুবসমাজের প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী। উপজেলা নির্বাচনের গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন।
এ তালিকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিও রয়েছেন। প্রথম তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরী। এরপর থেকে অসংখ্য সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা,জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ওপেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রাসেল চৌধুরীকে ’বিপদের বন্ধু ও গরীববান্ধব নেতা’ উল্লেখ করে নিজ নিজ ফেসবুক পেইজ থেকে স্ট্যাটাস দেয়।যদিও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে রাসেল চৌধুরীর খোলামেলা কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাসেল চৌধুরী তাকে প্রার্থী চেয়ে বিভিন্ন জনের স্ট্যাটাস ভাইরাল হওয়ার পর তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে লিখেছেন,প্লিজ,দলীয় সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার বাইরে কোন স্ট্যাটাস নয়। রাজনৈতিক সচেতন মহল তার এই বক্তব্যের প্রশংসা করেন। তাদের মতে,এটি লিখে রাসেল চৌধুরী একজন বুদ্ধিদীপ্ত ও বিচক্ষণ রাজনৈতিক কর্মীর পরিচয় দিয়েছেন।
অপরদিকে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের স্ট্যাটাস দিতে নিরুৎসাহিত করলেও তার ভক্ত সমর্থকরা তাকে প্রার্থী চেয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া অব্যাহত রাখেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, সততা, নীতি, আদর্শ ও পরোপকারী স্বভাবের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় রাসেল চৌধুরী। পেশাগত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সারাক্ষণ জনকল্যানকর কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তিনি। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের নানান সমস্যা নিয়ে তিনি নিরবে কাজ করেন। একজন স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হিসাবে জেলা শহরে তার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিপদগ্রস্ত মানুষের নানান সমস্যার সমাধান দিতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, কোর্ট-কাচারী, হাসপাতাল ও গ্রামীন জনপথে বিশ্রামহীনভাবে ছোটাছুটি করেন। দলমত নির্বিশেষে যে কোন মানুষের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করার বিষয়টি দিনে দিনে ব্যাপকভাবে প্রচার পাওয়ায় ভূক্তভোগি মানুষও ছোটখাট নানান সমস্যা নিয়ে নিয়মিত ভীড় করেন তার কাছে। এতে তিনি কোন রকম বিরক্তবোধ করেন না। সবাইকে আদর ভালবাসা দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেন। পরিচিত অপরিচিত সবাইকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি সু-পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে তিনি কারো কাজ থেকে পারিশ্রমিক বা আর্থিক সুবিধা নেন না। উল্টো সাধ্যমত তিনি আর্থিক সহযোগিতাও দিয়ে থাকেন। এ জন্য সব শ্রেনী ও বয়সের মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয় একটি নাম রাসেল চৌধুরী।তরুণ রাজনীতি বিদদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। উখিয়ার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারাও বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন।
কোটবাজার ফোরস্টোক সিএনজি মালিক ও চালক সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন খান বলেন, এতো অল্প বয়সে একজন মানুষ এতো নিলোর্ভ ও নি:স্বার্থ পরোপকারী হতে পারে তা রাসেল চৌধুরীকে না দেখলে বুঝা যাবে না। ধনীর দুলাল না হলেও তিনি মানুষের জন্য যা করেন, তা এমপি মন্ত্রীর ছেলেরাও করেন না। তাই সহযোগিতা পাওয়া লোকজনও তাকে অন্তর থেকে দোয়া করেন।বিশেষ করে উখিয়ার সিএনজি চালকদের কাছে অতিপরিচিত ও জনপ্রিয় একটি নাম রাসেল চৌধুরী।
প্রায় একই বক্তব্য দেন মরিচ্যা-খুনিয়া পালং সিএনজি ও টমটম চালক সমিতির সভাপতি জাফর আলম। তিনি বলেন, কক্সবাজারে শ্রমিকদের বহু সমস্যা সমাধানে নি:স্বাথৃভাবে ভূমিকা রেখেছেন রাসেল চৌধুরী। এ জন্য শ্রমিকরা তাকে পছন্দ করেন, অন্তর থেকে ভালবাসেন।
উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান বলেন, আমার মতো শত শত নেতা তৈরীর কারিগর রাসেল চৌধুরী। ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মীর আদর্শও তিনি। শুধু ছাত্রলীগ নয়,আওযামীলীগ ও সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে তার হাতেগড়া নেতাকর্মী রয়েছে। দলীয়ভাবে তিনি প্রার্থী হলে দলমত নির্বিশেষে সবাই তার পক্ষে কাজ করবে।
উখিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও উখিয়া সদর ইউনিয়নের মেম্বার সরওয়ার কামাল পাশা বলেন, কিøণ ইমেজের পরিচ্ছন্ন নেতা হিসাবে রাসেল চৌধুরীকে সবাই পছন্দ করেন। যে পদেই তাকে প্রার্থী করা হোক না কেন, তরুণ প্রজন্ম স্বত:স্ফুতভাবে তার জন্য কাজ করবেন এবং তিনি ভাল করবেন।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতা রাসেল চৌধুরী। সৎ, দক্ষ, নিলোর্ভ ও সাদা মনের রাজনীতিবীদ রাসেল চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি ধারণ ও লালন করে যাচ্ছেন। আপদমস্ত আওয়ামীলীগের নেতা রাসেল চৌধুরীর নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা যেমন রয়েছে, তমনি সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও তিনি সক্রিয় রয়েছেন। সার্বিকদিক বিবেচনা করে রাসেল চৌধুরীকে প্রার্থী করা হলে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নুরুল আবছার চৌধুরী।
উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন,ব্যক্তি ইমেজ,দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে সু-সম্পর্ক, গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় রাসেল চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে উখিয়া উপজেলা যুবলীগ সর্বশক্তি দিয়ে তার জন্য কাজ করবে।
জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী নেতা এডভোকেট রুহুল আমিন চৌধুরী রাসেল বলেন, বয়সে তরুণ হলেও একজন পরিশ্রমী সংগঠক ও পরোপকারী রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। নিজগুনে তিনি ইতিমধ্যে অনেক সুনামও অর্জন করেছেন। সবদিক বিবেচনা করে রাসেল চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী করা হলে অন্যদের চেয়ে তিনি অনেক ভাল করবেন বলে আশাবাদী এ আওয়ামীলীগ নেতা।
রাসেল চৌধুরী উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের জম্মগ্রহণ করেন। স্কুল ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। এরপর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ,উপজেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালণ করেন। বর্তমানে তিনি উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন। আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও সব দলের মানুষের কাছে তিনি সমান জনপ্রিয়। ছাত্র রাজনীতির দায়িত্বপালনকালীন সময়ে শত শত নেতাকর্মী সৃষ্টি করেন তিনি।তার হাত ধরে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হওয়া নেতাকর্মীরা আজ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত। একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে তার সুখ্যাতি রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাসেল চৌধুরী বলেন,নির্বাচন করার কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই। তিনি বলেন, আমি ভালবাসার পূজারী। মানুষের ভালবাসাকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকতে চাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নেতৃত্ব আল্লাহর দান। কপালে থাকলে এটি আপনাআপনি চলে আসবে। আপাতত আমি আরও কাজ করতে চাই,সিনিয়র নেতাদের কাছে কাজ করার সুযোগ চাই।