বিশেষ প্রতিবেদক:
পূর্ব আকাশে সূর্যোদয়ের মাধ্যমে আলোকিত করে পৃথিবী। সেই সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সব কিছুই। তেমনি বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত তীরের শহর কক্সবাজার আলোকিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হচ্ছে। সেই প্রতিষ্ঠানের নামটি হচ্ছে ‘অরুণোদয়।’ কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন- এই অরুণোদয় একদিন কক্সবাজারের অন্ধকারকে আলোকিত করতে পারে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘অরুণোদয়’ নামের প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘অরুণোদয়’ হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের (অটিস্টিক) একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হচ্ছে শহরের হিলটপ সার্কিট হাউজ পাহাড়ের পশ্চিম পাদদেশে অর্থাৎ হিলডাউন সার্কিট হাউজের পূর্ব পার্শ্বে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে-বিদেশে অটিস্টিক শিশুদের লেখাপড়া, পরিচর্যাসহ এসব শিশুদের যথারীতি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার এক মানবিক প্রচেষ্টার যথেষ্ট গুরুত্ব বেড়েছে। অনুরূপ বাংলাদেশেও এসব অটিস্টিক শিশুদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়ার তাগিদ উঠেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে এক মানবতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এমনই মানবতায় সাড়া দিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন উদ্যোগ গ্রহণ করেন দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারে অটিস্টিকদের জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে। কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) সহযোগিতায় হিলটপ সার্কিট হাউজের নিচের সরকারি খাস জমিতে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হচ্ছে।

গতকাল প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে প্রথম একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। জেলা প্রশাসক সভায় প্রতিষ্ঠানটির ‘অরুণোদয়’ নামকরণসহ বিস্তারিত বিবরণ অবহিত করেন। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারের অটিস্টিক শিশুদের এ প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হবে। সভায় বলা হয় কেবল মাত্র কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৫ শতাধিক অটিস্টিক শিশু রয়েছে।