ডেস্ক নিউজ:

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ (ছবি: ফোকাস বাংলা)শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আগের দুটির মতো টানা তৃতীয় মেয়াদে গঠিত মন্ত্রিসভায়ও স্থান পাওয়ার দিক থেকে বরাবরের মতো এগিয়ে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলা। বর্তমানসহ আওয়ামী লীগের গত ৩টি সরকারেই এসব জেলা থেকে একাধিক ব্যক্তির স্থান হয়েছে মন্ত্রিসভায়।
টেকনোক্র্যাট কোটাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ৪৭ জন সদস্য এসেছেন ৩৫টি জেলা থেকে। ফলে ২৯টি জেলার কোনও প্রতিনিধিত্ব এবারের মন্ত্রিসভায় নেই। আর বর্তমানেরটিসহ টানা তিন মেয়াদে ১১ জেলার কোনও প্রতিনিধির আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি।
গত ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়া নতুন মন্ত্রিসভাসহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আগের মন্ত্রিসভাগুলোয় একাধিক বার সংযুক্তি ও রদবদলের তথ্য পর্যালোচনা করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এবার মন্ত্রিসভায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা থেকে সর্বোচ্চ ৪ জন করে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়া গোপালগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ থেকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দুজন করে। এছাড়া ২৭ জেলা থেকে একজন করে প্রতিনিধি রয়েছেন এবারের মন্ত্রিসভায়।
বর্তমান মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীসহ গোপালগঞ্জ জেলা থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন দুজন। অন্যজন হলেন (টেকনোক্র্যাট কোটায়) ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। সদ্য বিদায়ী সরকারের মেয়াদে এই জেলা থেকে কেবল প্রধানমন্ত্রী থাকলেও প্রথম মেয়াদে তার সঙ্গে স্থান পেয়েছিলেন মোহাম্মদ ফারুক খান। তিনি প্রথমে বাণিজ্য এবং পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
ঢাকা জেলা থেকে এবারের মন্ত্রিসভায় আছেন ৪ জন। তারা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ২০১৪ সালে গঠিত সরকারে এ জেলা থেকে আসাদুজ্জামান খাঁন, নসরুল হামিদ ছাড়াও রাশেদ খান মেনন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ছিলেন মন্ত্রিসভায়। আর সাহারা খাতুন ও কামরুল ইসলাম ছিলেন ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভায়।
গাজীপুর জেলা থেকে এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিদায়ী মেয়াদে এই জেলা থেকে আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ছিলেন সরকারের মন্ত্রিসভায়। আর সরকারের প্রথম মেয়াদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেও পরে তিনি পদত্যাগ করেন। ওই সরকারের শেষের দিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় তার স্থলে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান গাজিপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি।
চট্টগ্রাম জেলা থেকে প্রতিবারই একাধিক প্রতিনিধি থাকছেন মন্ত্রিসভায়। এবার আছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। টেকনোক্র্যাট কোটায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া ইফাফেস ওসমানের জেলাও চট্টগ্রাম। গত দুটি মেয়াদেও ইফায়েস ওসমানের সুযোগ হয়েছিল মন্ত্রিসভায়। তিনি ছাড়াও দ্বিতীয় মেয়াদে এই জেলা থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাপা), নুরুল ইসলাম বিএসসি (টেকনোক্র্যাট) এবং প্রথম মেয়াদে আফসারুল আমিন, ড. হাছান মাহমুদ ও দিলীপ বড়ুয়া (টেকনোক্র্যাট) ছিলেন মন্ত্রিসভায়।
গত দুই মেয়াদের মতো সিলেট জেলা থেকে এবারের মন্ত্রিসভায় আছেন দুজন— পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। এ জেলা থেকে ২০১৪ মেয়াদে আবুল মাল আবদুল মুহিত ও নুরুল ইসলাম নাহিদ ছিলেন মন্ত্রিসভায়। সরকারের প্রথম মেয়াদেও এই দুজন মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
দিনাজপুর থেকে তিনটি মেয়াদেই মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। বতর্মান মেয়াদে এ জেলার খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পেয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এছাড়া গত দুই মেয়াদে এ এইচ মাহমুদ আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ছিলেন মন্ত্রিসভায়।
রংপুর থেকে এবার মন্ত্রিসভায় আছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গত মেয়াদে এই জেলার মশিউর রহমান রাঙ্গা (জাপা) মন্ত্রিসভায় থাকলেও প্রথম মেয়াদে কেউ ছিলেন না। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দুটি মেয়াদে এই জেলার একটি আসন (পীরগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত হলেও পরে তিনি তা ছেড়ে দেন।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় নোয়াখালীর জেলার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি আগের দুই মেয়াদেও সরকারে ছিলেন। তবে, প্রথম মেয়াদের মাঝামাঝি সময় তিনি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলার থেকে ড. আব্দুর রাজ্জাক (খাদ্য মন্ত্রণালয়) এবারের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। সরকারের প্রথম মেয়াদে ড. রাজ্জাক ছাড়াও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ছিলেন মন্ত্রিসভায়। লতিফ সিদ্দিকী ২০১৪ মেয়াদে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলেও হজ নিয়ে বির্তর্কিত মন্তব্যের জেরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া গত মেয়াদের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বাড়িও টাঙ্গাইলে।
নতুন সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আনিসুল হকের নির্বাচনি এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪। তিনি আগের মেয়াদেও একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া এ জেলার থেকে মরহুম ছায়েদুল হকও বিগত মেয়াদের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। আর ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম ছিলেন প্রথম মেয়াদে।
এবারের সরকারে কুমিল্লা জেলা থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া দুজন হলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। গত মেয়াদেও এ জেলার মোস্তফা কামাল ছাড়াও মজিবুল হক ছিলেন মন্ত্রিসভায়। আর প্রথম মেয়াদের মাঝামাঝিতে যুক্ত হয়েছিলেন মজিবুল হক। প্রথম মেয়াদে টেকনোক্র্যাট কোটায় আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের স্থায়ী ঠিকানাও এই জেলায়।
চাঁদপুরের ড. দীপু মনি এবার পেয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি মন্ত্রিসভায় না থাকতে পারলেও প্রথম মেয়াদে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এছাড়া এ জেলার মহিউদ্দিন খান আলমগীর প্রথম মেয়াদের মাঝামাঝি সময় মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছিলেন। আর মোফাজ্জাল হোসেন মায়া ছিলেন দ্বিতীয় (২০১৪) মেয়াদের মন্ত্রিসভায়।
সুনামগঞ্জের এম এ মান্নান এবার দায়িত্ব পেয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের। বিগত মেয়াদেও তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া এ জেলার থেকে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রথম মেয়াদের মাঝামাঝিতে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন।
নরসিংদীর নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। এ জেলা থেকে বিগত মেয়াদে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও প্রথম মেয়াদে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
মানিকগঞ্জ বর্তমান ও বিদায়ী দুই মেয়াদের মন্ত্রিসভাতেই জাহিদ মালেকের স্থান হয়েছে।
নওগাঁ থেকে এবার মন্ত্রিসভায় আছেন সাধন চন্দ্র সরকার। এই জেলা থেকে বিগত মেয়াদে ছিলেন ইমাজউদ্দিন প্রামানিক।
লালমনিরহাটের নুরুজ্জামান আহমেদ বর্তমান ও বিদায়ী দুই মেয়াদেই মন্ত্রী। এছাড়া প্রথম মেয়াদে এ জেলার মোতাহার হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
পিরোজপুর জেলার শ ম রেজাউল করিম এবার মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এ জেলা থেকে বিগত মেয়াদে ছিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (জেপি)।
মৌলভীবাজার থেকে শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়) এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এ জেলার মরহুম সৈয়দ মহসিন আলী ছিলেন ২০১৪ মেয়াদের সরকারের মন্ত্রিসভায়।
বান্দরবান জেলার বীর বাহাদুর উশৈ সিং বর্তমান ও সদ্য বিগত মেয়াদে সরকারের মন্ত্রী। রাঙ্গামাটি জেলার দীপঙ্কর তালুকদার ছিলেন প্রথম (২০০৯) মেয়াদের মন্ত্রিসভায়।
নেত্রোকোনা থেকে এবার ডাক, টেলিযোগাযেগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার (টেকনোক্র্যাট) ও আশরাফ আলী খান খসরু মন্ত্রিসভায় আছেন। এ জেলা থেকে বিগত মেয়াদে মোস্তফা জব্বার ছাড়াও আরিফ খান জয় ছিলেন মন্ত্রিসভায়।
খুলনা থেকে মন্নুজান সুফিয়ান এবার সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। তিনি প্রথম (২০০৯) মেয়াদেও ছিলেন মন্ত্রিসভায়। এছাড়া ২০১৪ মেয়াদে এ জেলা থেকে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন।

নাটোরের জুনাইদ আহমেদ পলক বিদয়ী মেয়াদের মতো বর্তমান মন্ত্রিসভাতেও আছেন। প্রথম (২০০৯) মেয়াদে এই জেলার আহাদ আলী সরকার ছিলেন সরকারের মন্ত্রিসভায়।
তিনটি মেয়াদেই মন্ত্রিসভায় যশোরের প্রতিনিধিত্ব ছিল। প্রথম মেয়াদে মোস্তফা ফারুক মোহম্মদ, দ্বিতীয় (২০১৪) মেয়াদে ইসমাত আরা সাদেক এবং এবার রয়েছেন স্বপন ভট্টচার্য।
জামালপুর থেকে এবার মন্ত্রিসভায় আছেন ড. মুরাদ হোসেন। বিগত মেয়াদে ছিলেন মির্জা আজম। আর প্রথম মেয়াদে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ ও রেজাউল করিম হীরা।
ময়মনসিংহ থেকে এবার মন্ত্রিসভায় আছেন দুজন— সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সাংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ জেলা থেকে ২০১৪ মেয়াদে প্রমোদ মানকিন এবং ২০০৯ মেয়াদে মজিবুর রহমান ফকির মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
হবিগঞ্জ জেলার মাহবুব আলী এবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। ২০১৪ মেয়াদে এই জেলার কেউ মন্ত্রিসভায় না থাকলেও ২০০৯ মেয়াদে ছিলেন মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ।
রাজশাহী জেলা থেকে এবার মন্ত্রিসভায় আছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি ২০১৪ মেয়াদেও একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া প্রথম মেয়াদে এ জেলার ওমর ফারুক চৌধুরী ছিলেন মন্ত্রিসভায়।
এছাড়া এবার প্রথমবারের মতো পঞ্চগড়ের নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ মন্ত্রণালয়), নারায়ণগঞ্জ গোলাম দস্তগীর গাজী, কুড়িগ্রাম থেকে জাকির হোসেন, মেহেরপুর থেকে ফরহাদ হোসেন, বরিশাল জেলা থেকে জাহিদ ফারুক, বাগেরহাট থেকে হাবিবুন নাহার ও শরীয়তপুরে এ কে এম এনামুল হক শামীম মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এই তিন মেয়াদে গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, বরগুনা, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার কোনও প্রতিনিধি মন্ত্রিসভায় স্থান পায়নি।
প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে ফরিদপুর, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মাদারিপুর, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, প্রথম (২০০৯) মেয়াদে সাতক্ষীরা, রাঙ্গামাটি ও পটুয়াখালি, দ্বিতীয় (২০১৪) মেয়াদে ভোলা, বরিশাল, নীলফামারী, লক্ষ্মীপুর, ঠাকুরগাঁও, মাগুরার প্রতিনিধিত্ব ছিল।
তিনটি সরকারের মন্ত্রিসভায় জেলার প্রতিনিধিত্ব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিটি সরকারেই ১৭টি জেলার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এগুলো হলো সিলেট, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ঢাকা, জামালপুর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, লালমনিরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, নাটোর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ ও যশোর।
গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন ৪৭ জন। এদের মধ্যে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী দুই মেয়াদে আরও শতাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এরপর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে তারা। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় ২৩ জন মন্ত্রীসহ ৩১ জন সদস্য মন্ত্রিসভায় স্থান পান। পরে একাধিক বার সম্প্রসারণ ও রদবদলে মন্ত্রিসভার সদস্য অর্ধ শতকের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটে আবারও বিজয়ী হয়ে ওই বছরের ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সরকার গঠনের সময় ৪৪ জন সদস্য নিয়ে মন্ত্রিসভা শুরু হলেও কয়েক দফায় সম্প্রসারণ ও রদবদলের জেরে ৫৭ জন দায়িত্ব পালন করেন। আর এবার ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রীসহ ৪৭ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।