সংবাদদাতা:
কক্সবাজার সৈকত কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষক সেলিম মু. রুবেলের উপর প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী কায়দা হামলা করেছে স্বশস্ত্র লোকজন।
এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
১০ জানুয়ারী কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া (সাব মেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের পেছনে) এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ৩ দিনেও জড়িত কেউ আটক হয়নি। বরং ভিকটিম ও তার স্বজনদের প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে চিহ্নিত হামলাকারীরা।
সেলিম মু. রুবেল ওই এলাকার সুরত আলমের ছেলে।

ভিকটিম শিক্ষক সেলিম মু. রুবেল বলেন, পারিবারিক জমি বিরোধের জের ধরে গত ৫ বছর যাবৎ আমার বাবাকে প্রতিপক্ষের লোকজন (জাফর আলম, ছেলে হেলালুজ্জামান বাবুসহ অনেকে) রাস্তাঘাটে যেখানে দেখে সেখানে মানহানিমূলক কটাক্ষ করে। আমার বাবাকে বেইজ্জতি করছে। এর আগেও একবার আমার বাবাকে পায়ে আঘাত করেছিল। বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধিগণের মধ্যস্তআয় বৈঠক করে সার্ভেয়ারসহ মীমাংসা করার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা কোনো বিচারই মানে না। গায়ের জোরে তারা সব অপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে।
হামলার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি সকাল ৮ ঘটিকার সময় আমাদের বাড়ির দরজার সামনে তাদের খামারের মুরগির ১ বস্তা বিষ্ঠা ঢেলে দেয়। আমার অসুস্থ মা প্রতিবাদ করায় তাকে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি পাথর, ইটের টুকরো নিক্ষেপ করেন।
এতে আমি ও আমার অনার্স পড়ুয়া ছোটবোন এসমিকা সুলতানা নিগার বাড়ি থেকে বের হলে আমাদের উপরও একই আচরণ করে। আমরা সবাই কম বেশি আঘাত পাই।
পরে আমার বাবা আসতে দেখে আমার চাচা আমাকে কোদালের হাতল দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালির উপরে সজোরে আঘাত করে। তিনি আমার মায়ের উপর পুণরায় আক্রমণ করলে আমি বাধা দিতে গেলে আমার মাথার উপর সজোরে আঘাত করা হয়। তখনই আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে আমাকে সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়। তারা এখনো পর্যন্ত আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অামি এর প্রতিকার চাই, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। অপরাধীদের শাস্তি চাই।

এদিকে, কক্সবাজার সৈকত কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষক সেলিম মু. রুবেলের উপর স্বশস্ত্র হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্কুল পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা। তারা ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে।