গত ১৩ জানুয়ারি স্থানীয় দৈনিক কক্সবাজার ৭১, আপনকন্ঠ, স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ডেইলি কক্সবাজার ডটকম , সময়বাংলা টিভি ডটকমে কক্সবাজার জেলা কারাগারকে উদ্দেশ্য করে কক্সবাজার কারা হাসপাতাল দখল এবং কক্সবাজার জেলা কারাগারের অনিয়ম দূর্নীতির খতিয়ান শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। কক্সবাজার কারাগার সম্পর্কে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোতিভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য অপপ্রচার মাত্র। সংবাদে কারাগার হাসপাতালে সিট বাণিজ্য, ওয়ার্ডে সিট বাণিজ্য, রাইটার বাণিজ্য অফিসকলসহ যে ধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা কতিপয় মহলের গভীর ষড়যন্ত্র। নিজেদের স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য কক্সবাজার জেলা কারাগার সম্পর্কে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ, এবং অগ্রহণযোগ্য সংবাদ প্রকাশ ও অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। রাখিব নিরাপদ ,দেখাবো আলোর পথ এ স্লোগানকে ধারণ করে কারা কর্তৃপক্ষের পথচলা।বর্তমান কারাগারে ৪০০০ মতো বন্দী নিরাপদভাবে কার কর্তৃপক্ষের হাজারো কষ্টের বিনিময়ে বিভিন্ন ধরণের ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে।কিন্তু প্রকৃতঅর্থে কারাগারে ৫৩০ জন কারাবন্দীর স্থান বরাদ্দ আছে। কারা কর্তৃপক্ষ , বন্দীদের মধ্যে যারা অসুস্থ কারা ডাক্তারের পরামর্শে ওয়ার্ড থেকে তাদের কারা হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়। পরবর্তীতে, সুস্থ হলে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে রাখা হয়।কারা হাসপাতালের সিট রয়েছে ২৫ টি। কিন্তু সংবাদে ২৫০ টি সিটের কথা বলা হয়েছে। তা, অতিদুঃখজনক। শুধুমাত্র কারাগারের সুনামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরণের মিথ্যা তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা কারগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগারের নাম ব্যবহার করে ,কারাগারকে উদ্দেশ্য করে কতিপয় মহল যে সংবাদ প্রকাশ করছে , তার সাথে কারা কর্তৃপক্ষের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। যদি কোন ব্যক্তি, অথবা জাতির বিবেক সাংবাদিক , অথবা সরকাররি বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ জেলা কারাগার সম্পর্কে সংবাদের প্রমাণ দিতে পারে , তাহলে সরকারী বিধি মোতাবেক যে শাস্তি অর্পিত হয় তা আমি মাথা পেতে নিবু। কিন্তু যদি তারা এ ধরণের সংবাদের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কারা উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সততা ন্যায় নীতিকতাকে সামনে রেখে আমরা আমাদের কারা বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো । কোন অপশক্তি দূর্নীতিবাজ মানুষ আমাদের সততার কার্যক্রমকে ব্যর্থ করতে পারবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাও কর্মচারী হিসেবে কারা বিধি মোতাবেক কল্যাণমুখী এবং সেবার যথার্থ প্রায়োগিক কাজ আমরা চালিয়ে যাবো। ককক্সবাজার জেলা কারগারকে বাংলাদেশের মডেল কারাগার রুপান্তরে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের যাচাবাছাই করে তথ্যবহুল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানাচ্ছি।

 

প্রতিবাদকারী

কক্সবাজার জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ