ডেস্ক নিউজ:
মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পড়ানো নিয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত অভিমত। রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে তার বক্তব্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারও ব্যক্তিগত অভিমত নারীর অগ্রযাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর চশমা হিলস্থ নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর এদিন সকালে তার পক্ষ থেকে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, ‘যিনি মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি বাংলাদেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনার দায়িত্বে নেই। এমনকি শিক্ষা খাতের কোনও নির্বাহী দায়িত্বেও নেই। তার অভিমত রাষ্ট্রীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত হবে এমন চিন্তার অবকাশ নেই। সমাজে তার মতো অনেকেই অনেক ধরনের অভিমত দেন। সব অভিমত রাষ্ট্রীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না। সংবিধান অনুসারে আমাদের সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই নীতির আলোকেই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। কারও ব্যক্তিগত অভিমত এই অগ্রযাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারবে না। বর্তমান সরকার নারী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) হাটহাজারী মাদ্রাসায় আয়োজিত এক মাহফিলে হেফাজত আমির মেয়েদের ক্লাস ফাইভের বেশি না পড়ানোর প্রতিশ্রুতি নেন। ওই মাহফিলে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না। ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। আর বেশি যদি পড়ান, পত্র-পত্রিকায় দেখছেন আপনারা। মেয়েকে ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ, বিএ পর্যন্ত পড়ালে ওই মেয়ে কিছুদিন পর আপনার মেয়ে থাকবে না। তাই আপনারা আমার কাছে ওয়াদা করুন। বেশি পড়ালে আপনার মেয়েকে টানাটানি করে অন্য পুরুষ নিয়ে যাবে। এ ওয়াজটা মনে রাখবেন।’