ডেস্ক নিউজ:
আওয়ামী লীগের যেসব নেতা যোগ্যতা ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দলের মনোনয়ন পাননি তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে যথাযথ মূল্যায়ন করার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল ঘোষিত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় নেতাদের এই নির্দেশনা দেন তিনি। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর আজকের যৌথসভা ছিল আওয়ামী লীগের প্রথম সাংগঠনিক বৈঠক।
সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় কর্মসূচি ও সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হতাশার কোনও কারণ নেই। সবাইকে তো আর মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয় না। তারপরও যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেতা হলো, কে সংসদ সদস্য হলো আর কে মন্ত্রী হলো, কে হলো না; এটা ভুলে গিয়ে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণ আমাদের ওপর আস্থা-বিশ্বাস রেখে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গত দুই মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। এজন্যই জনগণ টানা তৃতীয়বার ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে। আমরা গত দশ বছরে যেসব উন্নয়ন করেছি সেগুলো ধরে রাখতে হবে। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো শেষ করতে হবে। নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। দেশকে নিয়ে যেতে হবে উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির শিখরে। এজন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর সাহায্য প্রয়োজন। কী পেলাম, কী পেলাম না- সেটা ভুলে কাজ করতে হবে। দল অবশ্যই মূল্যায়ন করবে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এইচ টি ইমাম বক্তব্যে বলেন, বিগত নির্বাচনে বিভিন্ন পেশাজীবীসহ দলীয় নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দল সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা এ নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
সভার শুরুতেই শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ১৯ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় সমাবেশ সফল, ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এ বৈঠকে।