নিজস্ব প্রতিবেদক:

হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মধূছড়া এলাকায় ‘হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন’ পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ড. নাসিমা সুলতানা। তাঁর এই সফরের সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন ডা: এম এ মতিন, ইউএনএফপিএ’র বিশেষ স্বাস্থ্য উপদেষ্ঠা ডা: সৈয়দ আবু জাফর মুহাম্মদ মুসা, ইউএনএফপিএ’র প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অফিসার শামসুজ্জামান, ইউএনএফপিএ’র কোয়ালিটি অফিসার ডা: এ.এ সাফায়েতউল্লাহ, ইউএনএফপিএ’র ফিল্ড অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ভুঁইয়াসহ প্রমূখ। হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডাইরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান, হসপিটাল ডাইরেক্টর ডা: রোলান্ড ভেলা, সিনিয়র ম্যানেজার মো: শওকত আলী এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।

পরে অতিথিবৃন্দ হোপ ফিল্ড হসপিটালের নতুন অপারেশন থিয়েটার, ম্যাটার্নিটি কর্নার, লেবার রুম, ফার্মেসীসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং তারা হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন এর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, রোহিঙ্গা আশ্রয়গ্রহণকারী আনুপ্রবেশের সাথে সাথেই হোপ ফাউন্ডেশন বিগত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মধুছড়ায় (ক্যাম্প-০৪) ৪০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হসপিটাল স্থাপন করেন এবং হসপিটালটিতে ২৩ জুন ২০১৮ থেকে ২৪/৭ ম্যার্টানিটি ও বহি:বিভাগ চালু করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই হসপিটালটিতে ইনডোর বিভাগ চালু করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে ২৪/৭ সিজারিয়ান অপারেশন করা সম্ভব হবে।

কক্সবাজারের কৃতিসন্তান আমেরিকা প্রবাসী ডা. ইফতিখার মাহমুদ এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারে হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কক্সবাজার জেলার মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো এবং ফিস্টুলা মুক্ত করার জন্যই মুলত: এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। ডা. ইফতিখার মাহমুদ এই মহৎ কাজে সার্বিক সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।