মো: ফারুক,পেকুয়া :

পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার মৃত নুরুল আলম। জীবিত অবস্থায় ছিলেন একজন সংগ্রামী মানুষ। সংসারিক সংগ্রামী জীবনে ৬ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে নুরুল আলম কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে সব ছেলেকে মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তিনি নিজেও মুজিব আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

৬ পুত্রের মধ্যে আবুল কাশেমের সংগ্রামী জীবন ছিল কঠিন ও মর্মান্তিক। বাংলাদেশ আ’লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি-জামাতের মামলা, হামলা আর জেল জুলুমে কাটাতে হয়েছে বছরের পর বছর। অন্যভাইদেরও একই পরিণতির মাধ্যমে কারাভোগ ও কষ্টের জীবন পার করেছেন। সেই আবুল কাশেমকে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যথাযত মূল্যায়ন চাই আ’লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন। এছাড়াও সদ্য সমাপ্ত হওয়া চকরিয়া-পেকুয়া আসনের নির্বাচনে নৌকার সাংসদ জাফর আলমের পক্ষে তার কঠোর পরিশ্রম ও নির্বাচনী প্রচারণা আ’লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন ও সাধারণ জনগণের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এলাকাবাসী ও নেতাকর্মীদের ধারণা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, জেলা আ’লীগ ও সাংসদ জাফর আলম যদি ত্যাগি নেতা আবুল কাশেমকে মূল্যায়ন করে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেন তাহলে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে। ২০০২ সাল থেকে উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর নৌকা তথা আ’লীগের প্রার্থী বিজয় না করার দুঃখও ঘুচবে পেকুয়াবাসীর।

এছাড়াও আবুল কাশেমের রাজনৈতিক জীবনও বর্ণাঢ্য। তিনি ১৯৮৭ থেকে ৯৫ পর্যন্ত অবিভক্ত চকরিয়া থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে ৯৯ পর্যন্ত পেকুয়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক, ৯৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা ছাক্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকাবস্থায় পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন, ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সালের নভেম্ভর মাস পর্যন্ত উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

পেকুয়ার স্থানীয় বাসিন্দা বশির আলম, রশিদ আহমদ, আবুল কাশেম, গিয়াস উদ্দিন, সাহেদুল ইসলাম, আবদুল করিম, কামাল ফকির দৈনিক বাঁকখালীকে বলেন, আবুল কাশেম পেকুয়ার আ’লীগের জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন। তিনিসহ তার পরিবার বিএনপি জামাতের হাতে বারবার নির্যাতিত হয়েছেন। মিথ্যাভাবে ডাবল মার্ডার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী করে বাড়িহারা করলেও বারবার পেকুয়ায় ছুটে এসেছেন তিনি। আমাদের সুঃখে দুঃখে তাকে বারবার পেয়েছি। তাকে নৌকার প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যার পদে প্রার্থী করলে বিপুল ভোটে বিজয় হবে বলে আমাদের আশা।

এবিষয়ে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কপিল উদ্দিন বাহাদুর, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, পেকুয়া সদর আ’লীগের সভাপতি আজম খান, মগনামা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রশিদ আহমদ দৈনিক বাঁকখালীকে বলেন, আবুল কাশেম দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত নেতা। তার নেতৃত্বে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ সংগঠিত। এছাড়াও বিগত সময়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন করায় সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। তাকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিলে ঐক্যবদ্ধ আ’লীগের নেতৃত্বে তাকে বিজয়ী করতে চেষ্টার ত্রুটি থাকবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন ত্যাগি নেতা জাফর আলমকে মনোনয়ন দিয়ে চকরিয়া-পেকুয়া আসন বিপুল ভোটে জিতিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তেমনি পেকুয়ার আরেক ত্যাগি নেতা জাফর আলমের হাতিয়ার আবুল কাশেমকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে ১৬ বছর পর চেয়ারম্যান পদটি উদ্ধার হবে।

এবিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে একাধারে তিন বছর, এরপর ১৬ মাস, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রায় ১৬ মাস মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করি। ২বার ডিটেনশান সহ ১৯টি রাজনৈতিক মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলায় আমি সহ আপন ছয় ভাই কারাভোগ করি। তারপরও পেকুয়ার জনগণ থেকে ছুটে যায়নি। এছাড়াও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কিছু ত্রুটি ও কু-চক্রিমহলের কারণে অল্পভোটের ব্যবধানে হেরেছি। আর দলীয় নেতাকর্মীদের সুঃখে দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছি। চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণের প্রিয় নেতা আ’লীগ নেতাকর্মীদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক জাফর আলম দিকনির্দেশনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা উপহার দেয় আমি ভোট করতে রাজি। তাছাড়াও দলীয় মনোনয়নের জন্য আ’লীগ ঐক্যবদ্ধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন নিশ্চিত করবে তার পক্ষে কাজ করবো ইনশাল্লাহ।