ইরফান হোসেন :

ইসলামাবাদ বাঁশঘাটা হতে ইদগাহ বাজার সংযোগ অংশে নৌকা পারাপার ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক নিলাম ডাক হলে বিগত জুলাই ১৭ হতে ডিসেম্বর ১৭ পর্যন্ত স্থানীয়রা প্রতিদিন পাঁচ টাকা হারে পরিশোধপূর্বক পারাপার হতো। বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরেও সাঁকো নির্মাণের কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়াতে স্থানীয় নদী পারাপার হওয়া এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নিতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে নদী পারাপারের সময় লাঞ্চনার শিকার হয়ে চেয়ারম্যানকে জানালেও কোন প্রকার সমাধানের পরিবর্তে কটুবাক্য শুনতে বাধ্য হতেন। এছাড়া গত ডিসেম্বরের শীত মৌসুম শুরু হলেও কাঠের সাঁকো দেওয়ার কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ইজারাদারের নিকট হতে মাসিক হিসাবে চেয়ারম্যান পুনরায় গুপনে ইজারা দেবে মর্মে ৫০,০০০ টাকা গ্রহন করেন বলে ইজারাদার আবু তাহের জানান।
স্থানীয়দের কষ্ট দূরীকরণে নির্বাচনকালীন সময়ে ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় আবুল মনসুর আহমেদ কাঠের সাঁকো তৈরী করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে ইসলামাবাদ ৬নং ওয়ার্ডের এমইউপি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, মিজানুল ইসলাম, কাঠ ব্যবসায়ী অহিদুল আলমসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র কাঠ ও লাকড়ী ব্যবসায়ীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, আর্থিক সহযোগীতায় কাঠের সাঁকো নির্মানে জনদূর্ভোগ লাগবে সক্ষম হন।

গত ৬ জানুয়ারী মাগরিবের নামাজের পর বাঁশঘাটা জামে সমজিদের পেশ ইমামের মোনাজাতের মাধ্যমে সাঁকো চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ সময় ঈদগাও জাহানারা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, দিদারুল ইসলাম এমইউপি, কাসেম ফার্নিচারে মালিক আবুল কাশেম, হক ফার্নিচারে মালিক মিজানুল ইসলাম, অহিদুল আলম সও, হুমায়ুন কোম্পানী, জাফর আলম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ সও, জানে আলম, যুবনেতা মোহাম্মদ ইমরানসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন। সাঁকোর যাত্রা মুহুর্তে দিদারুল ইসলাম এমইউপি সকলকে মিষ্টিমুখ করানোর ব্যবস্থা করেন।
সাঁকো নির্মানের প্রধান উদ্যোক্তা আবুল মনসুর আহমেদ ও দিদারুল ইসলাম এমইউপি জানান, সাঁকোটি সম্পূর্ণ তৈরীতে গুটিকয়েক জনের আর্থিক সহায়তা গ্রহন করা হয়েছে এবং সর্বসাধারন সম্পুর্ণ বিনা মূল্যে সাঁকো পারাপার করতে পারবেন। যারা সাঁকো নির্মানে আর্থিক, শারিরীক ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।