মহেশখালী সংবাদদাতা:
মহেশখালী আদালত এলাকায় একটি কম্পিউটারের দোকানে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের ভুঁয়া ডকুমেন্ট সৃজন করে সাধারণ মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজিজ আলম নামের ওই দোকানদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভুক্তভোগি লোকজন ফুঁসে উঠেছে। সে ঘোনাপাড়ার ছৈনারপাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী আদালত এলাকায় ‘আজিজ কম্পিউটার কেয়ার’ নামক একটি দোকানে সিন্ডিকেট করে জাল ডকুমেন্ট তৈরীর কাজ করে আসছে অনেক দিন। সম্প্রতি জালিয়াতিগুলো স্থানীয়দের নজরে পড়ে। অনেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও অবগত করে।
স্থানীয় একটি সুত্রের দাবী, গত ২ জানুয়ারী তাজিয়াকাটার বাসিন্দা জনৈক এনামুল হকের নামে অংশীদার দাবী করে একটি কার্টিস পেপারে সরকারি রেভিনিউ লাগিয়ে এনামের দস্তখত জাল করে ভূয়া কাগজ সৃজন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ কারণে তার ব্যবাসায়িক লোকসান প্রায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী এনামের।
ভুক্তভোগী এনাম জানিয়েছেন, গত ৫ জানুয়ারী মহেশখালী থানায় জাল দলিলের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরের দিন মহেশখালী থানা কম্পাউন্ডে এবিষয়ে জেরা করা হলে আজিজ আলম নিজের জালিয়াতির কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে।
ওসময় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা আবদুল মান্নান, সাংবাদিক আবুল বাশর পারভেজ, সাংবাদিক জিকির উল্লাহ জিকু, পৌর শ্রমিক লীগ সভাপতি রিপন উদ্দিন, শ্রমিক লীগ নেতা কালাম শরীফ, সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জালিয়াতির কাজে রাজীব দে ও জাফর নামে আরো দুই ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে থানার এএসআই কুসুম জানান, জালিয়াতির বিষয়টি অনেকটা প্রমাণিত। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আইনগতভাবে আইনী আশ্রয় নিতে পারবে।
ভুক্তভোগী এনাম এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।