এম.এ আজিজ রাসেল :

জমকালো আয়োজনে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠছে ১০ জানুয়ারী । কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহমদ (অবঃ)। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মাসেদুল হক রাসেদ। এবারের শিল্প ও বানিজ্য মেলা হবে ব্যতিক্রমী ও জাঁকজমকপূর্ণ। প্রতিবারের মতো এবারও মেলা থাকবে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা। মেলার প্রধান ফটক নির্মিত হয়েছে রাজকীয় ফটকের আদলে। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন যৌথ উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইবেন দেশের বিখ্যাত শিল্পী শিমুল শীল, আঞ্চলিক গানের খ্যাতনামা শিল্পী মিম ও জোনাকি।

মেলার আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় শতাধিক স্টল থাকছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ১০০টি সাধারণ স্টল ও ২টি মুখরোচক ফুড স্টলের কাজ। মেলায় অংশ নেয়া প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টলে প্রসিদ্ধ গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি ও ফার্নিচার এসব স্টল থাকবে। এছাড়া শিশুদেরও বিনোদনের জন্য মেট্রো রেল, নৌকা দোলনা, নাগরদোলা, ওয়াটার স্পীড বোট, জাম্পিং বেলুন, ওয়াটার বল, ফাইভার ইলেকট্রিক চর্কি ও মিনি হাতি ঘোড়া। মেলার অপর পার্শে¦ মৃত্যু কূপ, যাদু প্রদর্শনী রয়েছে। মেলায় স্বনামধন্য দেশীয় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান কিয়াম, প্রাণ, আরএফএল, এসিআই ছাড়া দেশী-বিদেশী কার্পেট, জামদানি ও রাজশাহী সিল্ক শাড়ির প্যাভেলিয়নও রয়েছে। প্রতিদিন মেলা প্রাঙ্গণে খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

শিল্প ও বাণিজ্য মেলা আয়োজক কমিটির কো-চেয়ারম্যান সাহেদ আলী সাহেদ বলেন, মাসব্যাসী এ মেলা চলবে ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত। এবারের মেলাকে সফল করতে ইতোমধ্যই সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। মেলায় থাকবে ফায়ার ইউনিটি ও মেডিকেল টিম। ধূলো বালি কমাতে পুরো মাঠে ইট বিছানো হয়েছে। মেলার পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শিল্প ও বাণিজ্য মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বলেন, কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্যমেলায় সার্বক্ষণিক নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলাস্থলে সব ধরনের হকার ও ভিক্ষুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফুডকোটে অনিয়ম রুখতে বাধ্যতামূলক রাখতে হবে মূল্য তালিকা। এছাড়া, ইভটিজিং রোধে মেলায় পুলিশের বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া বাণিজ্যমেলায় দেশী ছাড়াও বেশি বেশি বিদেশি ক্রেতা ও পর্যটক অংশ নেবেন এটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের। এরজন্য যা কিছু করণীয় বাণিজ্য মেলা আয়োজক কমিটি সব করছে।

নিরাপত্তার বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ইতোমধ্যে বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে নিচ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো মেলা প্রাঙ্গনে থাকবে সিসি ক্যামরার আওতায়। এছাড়া মেলায় ইভটিজিং সহ যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।