যুগান্তর : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত খোয়ানো আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।ভোটের পরিবেশ থাকলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই ‌হিরো আলম।

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) হাইকোর্ট দেখানো হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেন।নির্বাচনে নিজের ভোটটিও দিতে না পেরে আক্ষেপ করে হিরো আলম বলেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখি ব্যালটই নেই।

ওই আসনে জয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী।বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে তিন শপথ নেননি। এমতাবস্থায় নির্বাচনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তিনি শপথ না নিলে এই আসনে ফের উপ-নির্বাচন হবে।উপ-নির্বাচনেও প্রার্থী হতে চান হিরো আলম।

এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দেখেন এখনও যেহেতু আমাদের এলাকায় যে এমপি হয়েছে, তিনি তো শপথ নেননি। এখানে তো উপনির্বাচন হবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখব। যদি দেখি অবস্থা ভালো আছে, তাহলে ভোটে আসব। আর যদি দেখি যে নেই-তাহলে যাব না।

এদিকে আগামী মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে, ওই নির্বাচনও করার ইচ্ছা আছে আলোচিত এই অভিনেতার।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদে জামানত হারানো হিরো আলম বলেন, এখন দেখেন সবকিছু পরিবেশের ওপর নির্ভর করবে। পরিবেশ যদি ভালো হয় তাহলে নির্বাচনে আসব। আর যদি পরিবেশ ভালো না হয় তাহলে নির্বাচনে যাবো না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আলোচিত হিরো আলম নির্বাচনের দিন সকালে ‘হামলা-মারধর ও এজেন্টকে বের করে দেয়াসহ একাধিক অভিযোগে এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ভোট গণনা শেষে জানা যায়, নিজ আসনে সিংহ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন মাত্র ৬৩৮টি।

মোট ভোটের এক-অষ্টমাংশ না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন হিরো আলমের। ওই আসনে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেন।

প্রসঙ্গত, ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান আর নাচ দেখিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তার প্রকৃত নাম আশরাফুল আলম। তিনি এর আগেও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত এই ‘হিরো’।