সিবিএন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন বলে দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানিয়েছেন।

তিনি শনিবার রাতে বলেছেন, রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তিনি জাতীয় সংসদের শপথগ্রহণ কক্ষে শপথ নেবেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ২২ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে কেবল এরশাদ ছাড়া বাকিরা বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে শপথ নেন।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে এরশাদ বিকালে শপথ নেবেন বলে সংসদ সবিচালয় থেকে জানানো হলেও শপথ অনুষ্ঠান শেষে তার ছোট ভাই সাংসদ জি এম কাদের বলেন, ওই দিন শপথ নিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ শেষে দলটির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের কক্ষে বৈঠকে বসেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হবে নাকি সরকারে যাবে, সে বিষয়ে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন তারা।

এছাড়া জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতা কে হবেন, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হয় ওই সভা।

এরপর শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, তারা বিরোধী দল হিসেবেই সংসদে ভূমিকা পালন করবেন। পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিজে থাকবেন বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা থাকবেন তার ভাই ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার এরশাদ স্পিকারকে চিঠিতে এই তিন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি পার্টির মহাসচিব রাঙ্গাঁকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ করার পক্ষে অবস্থান জানান।

বিগত দশম জাতীয় সংসদে বিরোধী দলে থাকলেও ‘ঐকমত্যের সরকারে’ও ছিল জাতীয় পার্টি।

তাদের বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

আর পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ছিলেন মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।