চকরিয়া সংবাদদাতা:

পরিকল্পিতভাবে চকরিয়া-পেকুয়াকে ঢেলে সাজাতে সর্বস্তরের জনগনের সহযোগিতা চেয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

জাফর আলম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৭৩হাজার ৮৫৬ভোট। জনগনের ভোট বিপ্লবে দুই লাখ ১৭হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন।

দীর্ঘ ৪৫বছর পর চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আলহাজ জাফর আলমের সুদক্ষ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই বিজয়ে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত। একই সঙ্গে তিনি এই বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মুখ উজ্জল করেছেন। তাঁর প্রমাণ ইতোমধ্যে তিনি পেতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ নির্বাচনে গণমানুষের নেতা জাফর আলম নতুন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।

গণমানুষের নেতা আলহাজ জাফর আলমের অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে এসেছেন চিংড়ি ব্যবসায়ী জাফর আলম। তিনি চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে সিআইপি জাফর নামে পরিচিত। জনগনের ভোটে ইতোমধ্যে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। পরিষদের সদস্যদের ভোটে আবার এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব পালন করছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে। নির্বাচনের সময় জাফর আলমের নৌকার সমর্থনে তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি জনপদে ব্যাপক কাজ করেছেন। শ্রমের পাশাপাশি নৌকার ভোট বিপ্লবে তিনি নিজের বিপুল টাকাও খরচ করেছেন। এতসব কাজের পরও নবনির্বাচিত এমপি জাফর আলমকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করতে ভুল করেনি জাফর।

মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার পালাকাটাস্থ বাসভবনে এলাকার জনগন, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নবনির্বাচিত এমপি জাফর আলমকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান সিআইপি জাফর । শুধু সিআইপি জাফর নন, বর্তমানে প্রতিদিন চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি জনপদ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটাস্থ বাসভবনে আসছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, আলেম ওলামা, বিভিন্ন সংগঠন, শ্রেণী-পেশার নাগরিক থেকে সাধারণ জনতাও আছেন জাফর আলমকে বরণ করতে।

জনগনের ভালোবাসায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে জবাবে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের নবনির্বাচিত এমপি ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বলেন, ‘আমার সারাজীবনের রাজনীতি ছিল গণমানুষের জন্য। এলাকার উন্নয়নের জন্য। আমি সেবা ও উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে চকরিয়া-পেকুয়ার জনগনের হৃদয়ে ছিলাম। একাদশ নির্বাচনে প্রিয় চকরিয়া-পেকুয়াবাসি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখে নৌকাকে বিপুল ভোটে জয়ী করে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। ৪৫বছর পর চকরিয়া-পেকুয়াবাসির শ্রেষ্ঠ উপহার বিজয়ী নৌকা সভানেত্রীর হাতে তুলে দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারনার সময় চকরিয়া-পেকুয়াবাসিকে তথা দিয়েছিলাম জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতের পরশে উন্নয়নের মাধ্যমে চকরিয়া-পেকুয়াকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি ইনশাল্লাহ তা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দেব। আমার স্বপ্ন আছে পরিকল্পিত উন্নয়নে চকরিয়া-পেকুয়াকে ঢেলে সাজানো হবে। সেইজন্য সর্বস্তরের জনগনের সহযোগিতা চাই।

জাফর আলম এমপি আরও বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ একাদশ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গনরায় দিয়েছে। আমাকে সম্মানিত করেছে। তাঁর প্রতিদান হিসেবে আমি চকরিয়া শহরকে যানজট মুক্ত আধুনিকমানের ফ্লাইওভার, পেকুয়ার জনগনের জন্য নতুন পৌরসভা, নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরীতে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ, মাতামুহুরী অঞ্চলের জনগনের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে নতুন হাসপাতাল, পুর্নাঙ্গ উপজেলা উপহার দেব। পাশাপাশি গ্রামীন জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তে সব ধরণের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।