জাহেদুল ইসলাম রায়হান।

চকরিয়া সংবাদদাতা:
চকরিয়ায় যুবককে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দুই মাস পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর নিহতের পিতা মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছ বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৮সালের ৫নভেম্বর রাত দুইটার দিকে উপজেলা কাকারা ইউনিয়নের এসএম চরপাড়ার মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছের পুত্র জাহেদুল ইসলাম রায়হান (২৪) তার মুদির দোকান বন্ধ করে ব্যাটমিন্টন খেলতে যায়। খেলা শেষে রাত ১২টায় রায়হান তার দোকানে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েকজন দূর্বৃত্ত দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আগুনের লেলিহান শিখা দোকানের চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রায়হানের মৃত দেহ উদ্ধার করে। পরে তাকে ময়না তদন্ত ছাড়া সমাহিত করা হয়।

ঘটনার প্রায় দুই মাস গত ২৭ডিসেম্বর উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে রায়হানের পিতা মোহাম্মদ ইউনুছ বাদী হয়ে কাকারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরপাড়ার গোলাম কাদেরের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৩৬) একই এলাকার নুরুল আলমের পুত্র জাহেদুল ইসলাম (২৪) আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বিচারক মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

রায়হানের পিতা ও মামলার বাদী মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, তার পুত্র স্থানীয় বখাটে গিয়াস উদ্দিন ও জাহেদুল ইসলাম দোকানে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিসংযোগ করে হত্যা করে। মুলত খুনিরা বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে দোকানে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর খুনিদের চাপে রায়হানের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া কবর দেওয়া হয়। হত্যার পর থেকে খুনিরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুকান্ত চৌধুরী বলেন, আগুনে মারা যাওয়া রায়হানের ঘটনায় তার পিতা মোগাম্মদ ইউনুছ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি তদন্তের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারক। এরপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।