মইশখালী-বাঁশখালী, পাল উড়াইয়া দিলে সাম্পান—“

||মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী||

এস.টি শহীদ সুকান্ত বাবু। একটি প্রমোদ ভ্রমনের মাঝারী আকারের সামুদ্রিক জাহাজের নাম। কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছটা আই.ডাব্লিউ.টি.এ টার্মিনাল জেটি থেকে সকাল ১০ টারর পর পর প্রায় একশ’ যাত্রী নিয়ে ভার্জিন দ্বীপ সোনাদিয়া’র উদ্দ্যেশে ছেড়েছে। সমুদ্রে নীলাভ জলরাশি উপকূলের প্যারবনের সাথে ঢেউ খেলছে অনবরত। সোনদিয়া’র রূপালী উৎপাদন প্রাকৃতিক উপায়ে শুঠকী আর মৎস্য খাদ্য তৈরীর ধুম ছলছে। ভার্জিন দ্বীপ নামে পরিচিত সোনাদিয়ার শুঠকীজীবীদের জীবনজীবিকা, কর্মময় ব্যস্ততা তো দরিয়ানগরের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের এ জাহাজটিতে চলড়ে মনে পড়ে যায় অনেক কিছু। চট্টগ্রামের আন্ঞ্চলিক গানের বিশিষ্ট শিল্পী সনজিৎ আচার্যের গাওয়া সাম্পানওয়ালা ছায়াছবির আন্ঞ্চলিক ভাষার সেই ঐতিহাসিক “মইশখালী-বাঁশখালী, পাল উড়াইয়া দিলে সাম্পান ঘুর ঘুরাই চলে, তোরা খন খন যাবি আর সাম্পানে—” তো আছেই। পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী আদিনাথ জেটিতে পৌঁছাতেই পাহাড়ের সাথে সাগেরর মিশে যাওয়ার মনমাতানো অপরূপ দৃশ্যের জুড়ি মেলা ভার। জেটির দু’পাশে প্রকৃতিকভাবে গড়ে উঠা অপরূপ ও নান্দনিক প্যারাবন যেন মহান আল্লাহতায়লার অনিন্দসুন্দর সৃষ্টিকে বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়। ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের আথিতিয়তায় আদিনাথ পাহাড়ের পাদদেশেই দেশজ খাদ্য দিয়ে মধ্যাহৃভোজের আপ্যায়নের স্বাদ তো যেন জিব্বাহতেই লেগে আছে। দরিয়ানগরের মানুষ হলেও দরিয়া ভ্রমন তো খুব একটা হয়না। স্বল্পদূরত্বের, সাশ্রয়ী ও স্বল্পসময়ে এ ভ্রমন নিঃসন্দেহে কক্সবাজারের পর্যটনে সংযোজন করেছে প্রচুর সম্ভাবনাময়ী এ নতুন দিগন্ত। ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার এ সমুদ্র ভ্রমনে আরো যাঁরা থেকে ভ্রমনকে আনন্দদায়ক করেছেন তাদের মধ্যে আই.ডাব্লিউ.টি.এ’র পরিচালক জাফর আলম হাওলাদার, যুগ্ম পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের সত্বাধিকারী হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আলম, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহামদ (এপিপি), এডভোকেট আবদুল কাইয়ুম, এডভোকেট আহসান উদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল আজিম, কক্সবাজার জেলা পরিষদের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান, ইউ.এন.এইচ সি.আর এর কর্মকর্তা বায়েজীদ, রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের সবেক চেয়ারম্যান মুফিদুল আলম, কৃতিছাত্র মহিউদ্দিন আলিফ, সানজিদুল আলম সজীব, সামীর, তম্ময় প্রমুখ।