ডেস্ক নিউ্জ:
নতুন বছরে কোন বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে কূটনীতি করবে বাংলাদেশ- তার একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যাতে গুরুত্ব পাচ্ছে ইউরোপ। বিশেষ করে ইউরোপের জিএসপি প্লাস সুবিধা নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ।

২০১৯ সালের কূটনৈতিক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক অনুষ্টিত এক বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২০১৯ সালকে সামনে রেখে কী ধরনের কূটনীতি অবলম্বণ করবে বাংলাদেশ তা নির্ধারণে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সমগ্র ইউরোপকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০১৯ সালের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি জানান, সেখানে ব্যবসা-বানিজ্য, জিএসপি প্লাস সুবিধাসহ অন্যান্য বিষয় তো থাকবে। পাশাপাশি আমরা বর্তমানে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ায় সেখানেও বাংলাদেশ এবার একটি গঠনমূলক ভুমিকা রাখবে।

তবে এখন প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো ঠিক করে রাখা হচ্ছে। পরে অারও অালোচনা করে একটি ওয়ার্কিং পেপার তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে সকল রাষ্ট্রের সঙ্গেই সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। তবে এ বছরে ইউরোপ সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার থাকবে।
এর আগে বাংলাদেশে পূর্বের দেশগুলোতে নজর বাড়ালেও খুব একটা সুবিধা অাসেনি। নতুন বছরেও পূর্বের দেশগুলোকে কম গুরুত্ব দেবে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা জানান, ২০২১ সালে বাংলাদেশ তার জন্মের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারকে বিশ্বের সকল দিক থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হচ্ছে। আর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আগে বাংলাদেশ বিশ্বে কোনোভাবেই বিতর্কিত হতে চায় না বা জিএসপি প্লাস সুবিধা হারাতে চায় না।

কূটনীতিকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তিতে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ব্যবসা-বাণিজ্য একত্রে সম্পৃক্ত। তাই কোনো একটি ক্ষেত্রে অসুবিধা হলে পুরো চুক্তির ওপর প্রভাব পড়ে।

এক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা আসতে পারে। ফলে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রাশিয়া ও ফ্রান্সের মতো পরাশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক যেকোনো সময়ের তুলনায় গভীর করেছে বাংলাদেশ।