আরো একটি বছর বেঁচে থাকলাম পৃথিবীতে। এই সুজলা-সুফলা সুন্দর পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরো একটি বছর উপভোগ করার সুযোগ দিল। আমি তাকে কি দিলাম সে কথা নিতান্তই অবান্তর। শৈবাল আবার শিশিরকে কি দিবে? অনেক অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। জন্মদিন মনে হলেই আজকাল মনে হয় সায়াহ্নের দিকে আরো এক কদম এগোনো হলো আমার। আজ এই গোধূলি বেলায় পিছনে তাকাতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। ভাবতে ইচ্ছে করে স্কুল-কলেজে পড়তে গিয়ে ছোটবেলায় জীবনটাকে যেভাবে কল্পনা করেছি আর আজকে যে জীবন আমি যাপন করে যাচ্ছি তার কোথাও কি কোন মিল আছে? শাহনাজ রহমতুল্লাহ তার কিন্নর কন্ঠে গেয়ে চলেন, “স্বপ্ন সেতো স্বপ্নই নয়, যদি না কিছু তার সত্যি হয়”… তাহলে কি সেগুলো স্বপ্ন ছিল না আদৌ? জীবনটাকে যতোই আমি মুঠোই ভরতে চেয়েছি, ততোই সেটা মুঠো থেকে পিছলে গেছে।

ছোটবেলায় জন্মদিনের সকালে ঘুম থেকে উঠেই কেমন যেনো একটা আলাদা অনুভূতি হতে থাকতো সারাক্ষণ। এই দিনটাকে শুধুই আমার মনে হতো। যতো ফুল ফুটেছে সেদিন এই পৃথিবীতে আমার জন্য, যতো শিশু হেঁসেছে সেও আমার জন্য। ঐ নীল আকাশ আমার, ঐ দখিন হাওয়া আমার। মনে হতে থাকতো আজ এই পৃথিবীর পাখিরা অন্য সুরে গাইছে, আজ ঐ সূর্য আমার পানে চাইছে। পৃথিবীতে সাংঘাতিক একটা ওলট-পালট কিছু হয়ে যাবে। প্রতি বছর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপিয়ে যাওয়া গৎ বাধা রাশিফলটা, যার একটা লাইনও এদিক-ওদিক না করে ওরা ছাপাতো মনের আনন্দে আবার পড়তাম। একবার নয় বারবার পড়তাম। আজ আপনার জন্মদিন হলে আপনি কর্কট রাশির জাতক কিংবা জাতিক। জন্মসূত্রে আপনি মেধাবী, উচ্চশিক্ষার যোগ আছে, কল্পনাপ্রবণ, আবেগপ্রবন, অত্যন্ত সংবেদনশীল ইত্যাদি ইত্যাদি। কাঁচি দিয়ে যতœ করে চারকোনা কেটে আবার ডায়রির পাতার মাঝে অগোছালো কিন্তু সাবধানে রেখে দিতাম। কি সাধারণ সেই কথাগুলো ছিল, হয়ত প্রত্যেকদিনই এদিক ওদিক করে অন্যের জন্মদিন উপলক্ষে ছাড়ছে, কিন্তু আমার কাছে সেদিন কোরানের আয়াত হয়ে ধরা দিতো।

আজকাল জন্মদিন তেমন কোন বিশেষ অনুভূতি আর উচ্ছাস নিয়ে আসে না। বয়সের ঘরে আরো একটি সংখ্যার যোগফল বইতো বেশি কিছু না। তেমন কোন আলাদা চমক নেই, অবাক করে দেয়ার জন্য কেউ এসে কড়া নাড়বে না, অনেকদিন ধরে চেয়ে আসছি তেমন কিছু জন্মদিনের শুভেচ্ছাস্বরূপ উপহার হবে না। যখন যা মনে চায় কিনে নেই, চাওয়ারও কেউ নেই, দেওয়ারও কেউ নেই। নিয়মের বাইরে অবাক হওয়ার মতো খুব একটা কিছুই নেই। অফিসে কেক নিয়ে যাই, সবাই শুভেচ্ছা জানায়, ফেসবুক, মেইল, এসএমএস আর ফোনতো আছেই। তারপর ভালো কোন রেষ্টুরেন্টে খাও আর ঘুমাও, জন্মদিন শেষ আবার সামনের বছরের জন্য তৈরী হও। তবে শুভানুধ্যায়ীদের উৎসাহের কোন সীমা থাকে না, যেটা দেখতে খুব ভালো লাগে। লিখছি বটে আলাদা কোন আবেদন নেই, কিন্তু সত্যিই কি নেই? তাহলে কেনো এই নোট লিখছি আজ? মেইলে এত্তো এত্তো ই-কার্ড ফ্রী পাঠানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকে যখন হাতে লিখে ডাক মাশুল দিয়ে কার্ড পাঠান, তখন মনে হয় আসলে কি আমি এই ভালোবাসার যোগ্য?

আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠ ও জাতির আলো’র সম্পাদক ও প্রকাশক বাংলাদেশের নারী সাংবাদিক আন্দোলনের অগ্রদূত আউলিয়া বেগম আলো এক বার্তায় লিখেন সেটা হুবহু তুলে ধরা হলো: কোনো জনপদের চিন্তাধারার প্রতিনিধি, কণ্ঠস্বর, বিবেকের অনুশাসন হিসেবে কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সৃজনশীল প্রতিটি মানুষই ভূমিকা রাখেন। তেমনি একজন তরুণ সাংবাদিক সময়ের সাহসী লেখক সমুদ্রসন্তান জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ, দি গুড মর্নিং এর সহ-সম্পাদক জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ও জাতির আলোর উপদেষ্টা সম্পাদক, মেসার্স দ্বীপ কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আকতার হোছাইন কুতুবী।

যেখানে অন্যায় অত্যাচার, অপরাধ, দুর্নীতি, দুঃশাসন সেখানেই নির্ভীক, সাহসী, এক সাংবাদিকের পদচারণ। যে কোন মূল্যেই তিনি তুলে নিয়ে আসবেন ঘটনার অন্তরালের মূল ঘটনা। অপরাধ ও অপরাধী যত গভীরেই থাকুক না কেন সেখান থেকেই তিনি তার চতুরতা, একনিষ্ঠ কর্মদক্ষতা দিয়ে টেনে বের করেন লুকানো সেইসব অপরাধীদের। তাদের মন্দ কাজের সকল আমলনামা। তুলে ধরেন দেশ ও জাতির সম্মুখে। যিনি সত্যর সন্ধানে নির্ভীক সাংবাদিক, জীবনে সুখ বিলাস লোভে মোহ ত্যাগের প্রতীক। সহজ-সরল জীবন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। অপরাধ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার অপ্রতিদ্বন্দ্বী। অন্যায়ের সাথে কখনোই আপোষ করে না।

আজকের আকাশে অনেক তারা, দিন ছিল সূর্যে ভরা। আজকের জোসনাটা আরও সুন্দর, সন্ধ্যাটা ভালো লাগা। আজকের পৃথিবী তোমার জন্য, ভরে থাকা ভাল লাগা। মুখরিত হবে দিন গানে গানে, আগামীর সম্ভাবনা। আপনি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছেন তাই শুভেচ্ছা আপনাকে, তাই অনাগত খন হোক আরও সুন্দর উজ্জ্বল দিন কামনায়।

আজকের এই দিনে এক শুভক্ষণে কুতুব আউলিয়ার পুণ্যভূমি কুতুবদিয়ার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বাবা-মা নিকেতনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আর সেই নবজাতক শিশুটি আজকের বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিধাতা অসীম মেধায় ভরপুর করে দিয়ে এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন নিষ্পেষিত মানুষের জন্য।

অসাধারণ মেধাবী আকতার কুতুবীর নম্রতা, বাচন ভঙ্গি, শুদ্ধ উচ্চারণ, উত্তম চারিত্রিক গুণাবলী, ভদ্র, প্রাণবন্ত ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তার সৃষ্টিশীলতা ক্ষমতা, যা হল মৌলিক ভাষিক এককগুলিকে সংযুক্ত করে অসীম সংখ্যক বৈধ বাক্য সৃষ্টির ক্ষমতা, যে বাক্য গুলির অনেক গুলিই হয়ত আজও কেউ বলেনি বা শোনেনি। প্রকাশভঙ্গী নম্র ও কোমল আচরণের মানুষকে সবাই ভালোবাসে, সমীহ করে আর তাই তিনি সকলের কাছে সমান সমাদৃত। কোমল আচরণের দ্বারা মানুষের চারিত্রিক মাধুর্যটা প্রকাশ পায়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভোজন রসিক।

ব্যক্তিগত জীবনে আকতার কুতুবী অবিবাহিত। সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ করেন এই সাংবাদিক ও গবেষক। অল্প বয়সে এতো এতো সাফল্যের পেছনের সূত্র মনে করেন ‘ইতিবাচক থাকা’কে। দেশকে নিয়ে প্রচ- আশাবাদী তিনি। সমৃদ্ধ এবং উন্নত এক দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তিনি। শুভ হোক আপনার জন্মদিন। আপনি হাজার বছর বেঁচে থাকুন। সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা এই বাংলাদেশে। মা-মাতৃকার টানে আপনাকে আবদ্ধ করে রাখুক গণতন্ত্রকে সুসংহত করার প্রত্যয়ে।