মুহাম্মদ শাহ জাহান, দুবাই থেকেঃ মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরর আমিরাতে প্রায় ছয় বছর ধরে বাংলাদেশী শ্রম বাজার বন্ধের পর অবৈধ অভিবাসী বৈধ (জিরো টলারেন্স) করার লক্ষ্যে গত ১লা আগস্ট থেকে তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ ক্ষমার (এমনেস্টি) সময় সীমা শেষ হয়েছে ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮। ইতি মধ্যে বাংলাদেশ দুতাবাস আবুধাবী ও দুবাই কন্স্যুলেট অফিস জানিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার অবৈধ প্রবাসীদের নতুন পাসপোর্টের মাধ্যমে বৈধ হয়ে দেশে গমন ও নতুন কর্মসংস্থানের ভিসা ব্যবস্থার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্ত এরই মাঝে নতুন ভিজিট ভিসায় এসে অসংখ্য বাংলাদেশী যাদের অনেকেই ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ অবৈধ হয়ে আমিরাতে অবস্থান করছে যা সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়ে না। আমিরাতে সরাসরি লেবার ভিসা চালু না থাকলেও বিভিন্ন মাধ্যমে নতুন ভিসা ব্যবস্থার কথা বলে দালাল চক্রের খপ্পরে অসংখ্য বাংলাদেশী ভিজিট ভিসায় আমিরাতে এসে অবৈধ হয়ে পড়েছে। । এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক দেশে চলে গেলেও সিংহ ভাগ এখানেই অবৈধ হওয়ায় ভিসা বিহীন এ অবৈধ বাংলাদেশীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শরীফ নামের এক ভুক্তভোগী জানান- আজ থেকে ৫ মাস পুর্বে ভিজিট ভিসায় দালালের হাত ধরে ২ লক্ষ টাকায় আসে আমিরাতে । কাজের ভিসা দেওয়ার কথা থাকলেও আসার পর ফোন ধরেনা দালাল চক্র । ঢাকার একটি ট্রাভেলস এজেন্সির নাম বলতে পারলেও দালালের বন্ধ মোবাইল নাম্বার ছাড়া ( +৯৭১৫২২৬২৯১৪০) তেমন কোন উল্লেখযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি সে । এ সমস্থ অবৈধ শ্রমিকের কারণে বৈধ শ্রমিকের উপর চাপ ও স্থায়ী ভাবে ভিসা চালু করতে আমিরাত প্রশাসান উদ্যোগী হবে না বলে ধারনা করেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।