শাহীন মাহমুদ রাসেল :

কক্সবাজার জেলাবাসী পৌষের হাড়কাঁপানো শীতে থুবথুবু হয়ে পড়ছে। তীব্র শীতের সাথে উত্তরা হিমেল হাওয়া যোগ হওয়ায় শীতের প্রকোপ আরো বাড়ছে। সেই সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে গত কয়েক দিন থেকে সূর্যের আলো দেখা না যাওয়ায় ঠক-ঠক করে কাঁপছে সর্বস্তরের জনগণ। তীব্র শীতকে মোকাবিলা করতে জেকেট, মাপলার, সুইটার ও শীত টুপিসহ রকমারি শীতের কাপড় কিনতে অভিজাত মার্কেট থেকে শুরু করে হকার মার্কেট, ফুটপাতের দোকান ও ভাম্যমাণ দোকান ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

কক্সবাজার শহরসহ রামু নিউ মার্কেট, সুফিয়া প্লাজা, বেদার মার্কেট, হাজী মার্কেট, আলহেরা মার্কেট, আল নূর শপিং কমপ্লেক্স, মসজিদ মার্কেট ও ইসলাম মার্কেট থেকে শুরু করে কৃষি ব্যাংকের সামনে ফুটপাতের দোকান গুলোতে পছন্দ ভিড় দেখা যায়। নিম্ন আয়ের লোকজন কম দামের শীতবস্ত্র কেনার জন্য ফুটপাতের দোকানসমূহে ভিড় জমান। অভিজাত দোকানে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ও ফুটপাতের দোকান গুলোতে ৫০ টাকা থেকে ৩ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে শীতের এইসব গরম কাপড়। অন্যদিকে তীব্র শীতল বাতাস ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত্র হচ্ছে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তাররা জানান, প্রচন্ড শীত ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিশুরাই বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের গরম কাপড় পড়ার পরামর্শ দেন বলে জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এদিকে তীব্র শীতে জেলার জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। কাগজ পুড়িয়ে ছিন্নমূল মানুষরা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দেখা দিয়েছে সর্দি জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া। ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। তীব্র শীতের কারণে বিভিন্ন সরকারি ভবন, রেলস্টেশন, ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় গ্রহণকারী ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে।