সৈয়দুল কাদের

একজন সংসদ সদস্য কিভাবে একজন ভাল সেবক হতে পারেন তার অনন্য দৃষ্ঠান্ত মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। যিনি বিগত ৫টি বছর এই দুই উপজেলার ৬ লাখ মানুষের সেবক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি এবার ভোট প্রার্থনা করার প্রধান পুঁজিই উন্নয়ন। যার অধিকাংশ দৃশ্যমান। এই নির্লুভ, নিরহংকার একজন নেতাকে সাংসদ হিসাবে পাওয়ায় মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় প্রভুত উন্নয়ন হয়েছে। বিগত সময়ে যারা সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা যা কল্পনাও করেনি তার বাস্তবতা দেখাচ্ছেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। একজন সৎ ও সাহসি সাংসদের কারণে এই অবহেলিত দ্বীপ এখন মর্যদার শিখরে। এখন দেশকে আলোকিত করছেন এই দুই দ্বীপের মানুষ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উন্নয়ন বঞ্চিত মহেশখালী-কুতুবদিয়াকে উন্নয়নের ধারায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে লবণ আমদানী বন্ধ করে লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিপান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানীর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় মিষ্টিপানের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃক মহেশখালী জনতা বাজার সড়ক পুণঃনির্মাণের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শুরু হবে। গোরকঘাটা-শাপলাপুর সড়ক সংস্কার হয়েছে। মাতারবাড়ি সংযোগ সড়ক পুণঃনির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হবে।

সাংসদ যায় আসে কিন্তু কোন সাংসদ মহেশখালী জেটি সংলগ্ন খাল খনন করে মানুষের দূর্ভোগ লাগবের কোন চিন্তাই করেনি। বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক খাল খননের মাধ্যমে এই দূর্ভোগের অবসান ঘটিয়েছেন। মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরী সার্ভিস শীঘ্রই শুরু হবে। এছাড়া মহেশখালী-কক্সবাজার সংযোগ সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিকল্পনাধীন রয়েছে। ধলঘাটার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একমাত্র জেটি ঘাটটির পুণঃনির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।

মহেশশখালীতে প্রতি ঘরে-ঘরে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মাতারবাড়িতে ৫৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ আশেক উল্লাহ রফিক এমপির অনন্য অবদান। মহেশখালীর নারী শিক্ষা সহজলভ্য করার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ’ জাতীয়করণের আওতায় এনেছেন তিনি। এ ছাড়া সার্বজনিক শিক্ষা বিস্তারের জন্য মহেশখালীর সকল স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাকে সরকারি করণের চালিয়ে যাচ্ছেন। ১১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ, নতুন ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রভুত উন্নয়ন করেছেন বর্তমান সাংসদ। ‘জমি আছে ঘর নাই’ এই প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে ৫৫৭টি পরিবার ঘর পেয়েছে। এছাড়া আরো ৫৫৫টি পরিবার ঘর পাবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসার সুবিধার্থে প্রতিটি ক্লিনিকে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন তিনি। যার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদ মাতৃত্বসেবা নিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত একাধিক বৃহৎ প্রকল্প মহেশখালীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অধিগ্রহণকৃত জমিরমূল্য বৃদ্ধি করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ভূমি মন্ত্রনালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে জমির মূল্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান সাংসদ। যার সুফল অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা উপকৃত হয়েছেন।

মহেশখালীতে স্বাধীনতার পর থেকে একটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ দ্বীপবাসীর অন্যতম দাবী ছিল। সে দাবিটি পুরণ করেছেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ধলঘাটা ও মাতারবাড়িতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া শাপলাপুরে নির্মিত হয়েছে বেড়িবাঁধ।

কুতুবদিয়া উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বেড়ীবাধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া বিগত ৫ বছরে কুতুবদিয়ায় জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লকসহ বেড়িবাঁধ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

গত ৫ বছর দায়িত্ব পালনকালে কুতুবদিয়ায় নারী শিক্ষাকে আরো এগিয়ে নিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কুতুবদিয়া মহিলা কলেজ’। আশেক উল্লাহ রফিক’র ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় জাতীয়করণের আওতায় এসেছে কুতুবদিয়া কলেজ। আজম সড়ক হচ্ছে কুতুবদিয়া দ্বীপের প্রধান সড়ক। এ সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হওয়ার পথে। স্থানীয়দের জনদূর্ভোগ লাগবে ৬ কোটি ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে লেমশীখালী ইউনিয়নের দরবার ঘাটে একটি জেটি নির্মাণ করেছেন। বিগত সাংসদরা যা চিন্তাও করেনি আশেক উল্লাহ রফিক এমপি এটির বাস্তবতা দেখিয়েছেন। আমরা মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসী শুধু একবার চিন্তা করে দেখি কোন সাংসদ কি করেছেন। কোন সাংসদ এলাকার মানুষকে সেবা করেছেন, শ্রব্ধা করেছেন। যখন প্রয়োজন তখন পেয়েছেন।

লেখক-সাংবাদিক ও রাজনীতিক।