এম.এ আজিজ রাসেল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে নিজেদের তৎপতা বাড়িয়েছে র‍্যাব। বহিরাগতদের প্রবেশ ও অবৈধ মালামাল পরিবহন সড়কে কঠোর নজরদারি অব্যহত রেখেছে। এ নিয়ে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। সড়কে নজদারিও বাড়িয়েছে।

র‍্যাব জানায়-গত কয়েকদিন থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ জেলার ৪টি আসনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করে র‌্যাব। সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি তল্লাসি করা হচ্ছে। তল্লাসি অভিযানের অংশ হিসেবে গাড়ির ড্রাইভার ও যাত্রীদের নানা বিষয় খোঁজখবর নেওয়া হয় র‍্যাবের তরফ থেকে। এছাড়া আবাসিক হোটেল, কটেজ, গেষ্ট হাউস ও ব্যাচেলর ভাড়া বাসায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। করা হচ্ছে তল্লাশি। বহিরাগতদের আগমন ও অবৈধ মালামাল পরিবহণ ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী বা সন্দেহজনক লোকজনের গমানাগমন ঠেকাতে র‍্যাবের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কক্সবাজার র‌্যাব ক্যাম্প থেকে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম, ফেনী, কক্সবাজার ও ০৩ টি পার্বত্য জেলায় মোট ২৬ টি আসনে চট্টগ্রামে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের নাশকতা ধমনের লক্ষ্যে ৬৯ টি টহলে সর্বমোট ৫৮৬ জন র‌্যাব সদস্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র গুলো পর্যবেক্ষণ করছে। এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় সাদা পোষাকে র‌্যাব সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশী করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে র‌্যাবের তল্লাশী চলমান রয়েছে যাতে কোন বহিরাগত সন্ত্রাসী বা নাশকতাকারী আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জনমনে আস্থা তৈরি এবং নির্বাচনী পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এ ধরণের বিশেষ টহল ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ টহল চলমান থাকবে। জনমনে স্বস্তির জন্য চট্টগ্রামের স্থায়ী ক্যাম্পগুলোর পাশাপাশি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার স্পর্শকাতর বিভিন্ন জায়গায় আরো ৭ টি অস্থায়ী ক্যাম্প (চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, সীতাকুন্ড, রাঙ্গুনিয়া, লোহাগড়া, বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মহেশখালী) স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের গুজবে কান না দিতে জনগনকে উৎসাহ প্রদানসহ র‌্যাবকে তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র‌্যাবের মোবাইল নম্বর সম্বলিত পোস্টার লাগানো হচ্ছে। টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি নির্বাচনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন নাশকতাকারীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-৭ এর আভিযানিক কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।