বার্তা পরিবেশক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শেষ ৪ দিনের মধ্যে পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত ১১ শত নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বার, মহিলা ইউপি মেম্বারসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে আসামি করা হয়েছে।

সূত্র মতে, ২৬ ডিসেম্বর বারবাকিয়া ও শিলখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয় পেকুয়া থানায়। বারবাকিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ভারুয়াখালীর নুরুল কবির বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মগনামা ইউনিয়নের বাসিন্দা শাফায়েত আজিজ রাজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রণি, ইউপি সদস্য মাষ্টার ইউনুস ও মহিলাসহ ৭৬ জন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

এদিকে শিলখালী ইউনিয়নের কসাই পাড়ার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া বাদী হয়ে শিলখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন সওদাগরকে প্রধান আসামি করে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইনসহ ১১০ জন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দু’টি মামলাতেই ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে।

ইতিপূর্বে দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক, প্রবাসে থাকা ও কারাগারে থাকা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন বলেন, প্রত্যেকটি মামলায় অভিন্ন অভিযোগ সাজিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের লোকজন সর্বত্র অস্ত্রবাজি করে বিএনপির অফিসে ভাংচুর ও নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, পোষ্টার ছিড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নিচ্ছে না।

তার মতে, নিরীহ লোকজনকে ধরে থানায় নিয়ে আসলে আত্মীয় স্বজনরা দেখতে আসলে মহিলাদেরও মামলায় আসামি বানিয়ে চালান দিচ্ছে।

নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে অব্যাহত পুলিশী তল্লাশি করে এলাকাছাড়া করার হীন প্রচেষ্ঠা বন্ধ করে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ আচরণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।