প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে মহেশখালী আধুনিক শহরে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশেক উল্লাহ রফিকের মত একজন পরিচ্ছন্ন তরুণকে মনোনয়ন দিয়ে মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসীকে ধন্য করেছেন। যার নেতৃত্বে গত ৫ বছরে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামি ৩০ ডিসেম্বর ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আশেক উল্লাহ রফিক’কে বিজয়ী করতে হবে। তিনি বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হবে শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আসলেই শুরু হয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার। এই অপ-প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। তারা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি স্বরুপ। তারা দেশকে পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বড়মহেশখালী নতুন বাজার ময়দানে আশেক উল্লাহ রফিক তথা নৌকা প্রতীকে’র সমর্থনে আয়োজিত এক বিশাল জনসমুদ্রে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে প্রবীণ ও আলেম সমাজ সম্মানিত হয়। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি পুনরায় সরকার গঠন করলে মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনদের বেতন দেবেন। শরীয়া বিরোধী কোন আইন সংসদে পাস করবেন না। অপরদিকে ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা অপ-প্রচার চালাচ্ছেন তারা ইসলামের সেবায় কোন কাজ করেননি। সরকার যা বরাদ্দ দিয়েছে তা লুটেপুটে খেয়েছে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমদের টাকা পকেটস্থ করেছে। দূর্নীতির দায়ে যিনি জেলে আছেন তিনিই তাদের নেত্রী। তারা ক্ষমতায় আসতে এখন মরিয়া হয়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, বিগত ৫ বছরে মহেশখালীতে অসংখ্য কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে যথাযত ভাবে বুঝাতে সক্ষম হওয়ায় লবণ আমদানি বন্ধ করে লবণের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করেছি। মিস্টি পান বিদেশে রপ্তানী বৃদ্ধি করার পক্রিয়া শুরু হওয়ায় মিস্টি পানের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত হয়েছে। আগামি নতুন বছরেই মহেশখালীতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। এ ছাড়া মহেশখালীতে বিদ্যুতের পৃথক সাব-স্টেশান স্থাপন করায় এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হবে মহেশখালী-জনতাবাজার সড়ক পুনঃনির্মাণ কাজ। মহেশখালী জেটি সংলগ্ন খাল খনন করে জনদূর্ভোগ কমাতে সক্ষম হয়েছি। মহেশখালীর বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ জাতীয়করণের আওতায় এসেছে। মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরী সার্ভিস অচিরেই শুরু হবে। এ ছাড়া মহেশখালী-কক্সবাজার সংযোগ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনাও গ্রহন করা হয়েছে। মহেশখালীতে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে এ সব প্রকল্পে স্থানীয়দের নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে। এর সবকিছুই নির্ভর করছে আগামি ৩০ ডিসেম্বর। ওই দিন নৌকা বিজয়ী হলে এগিয়ে যাবে উন্নয়ন কার্যক্রম। অন্যরা যা পারেনি বিগত ৫ বছরে আমি তা করতে সক্ষম হয়েছি। ধলঘাটা ও মাতারবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে স্থায়ী বেড়িবাঁধ। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিপুরণের টাকা ইতোমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে প্রয়োজনে আরো বৃদ্ধি করতে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।

তিনি মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এই দুইটি উপজেলা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টির মধ্যে রয়েছে। নৌকার বিজয় হলে এই দুই উপজেলাকে আধুনিক নগরী হিসাবে গড়ে তুলবেন তিনি। তিনি দেশের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এগিয়ে নিচ্ছেন দেশ, হচ্ছে উন্নয়ন। অচিরেই বাংলাদেশে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পন করবে।

মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডঃ আবু তালেব ও এহচানুল করিম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে প্রফেসর ডঃ আনসারুল করিম বলেন, বিগত ৫ বছর মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় আশেক উল্লাহ রফিকের নেতৃত্বে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা ডাঃ নুরুল আমিন, সহ-সভাপতি এম আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রশান্ত ভুষণ বড়য়া, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তামিম, ব্যরিস্টার আদনান, জেলা পরিষদ সদস্য মশরফা জান্নাত. কালারমারছড়ার চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, কুতুবজুমের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন, হোয়ানকের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রিয়নেতা মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজেদুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এম আবদুল মান্নান, ছোট মহেশখালীর সাধারণ সম্পাদক মাস্টার এনাম, বড়মহেশখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা সোহেল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমদ বাবু। পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন কুতুব ইলাহী, গীতা পাঠ করেন ব্রজগোপাল ঘোষ।