সিবিএন ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে জাতীয় পার্টি থেকে আলাদাভাবে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বারিধারায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নির্দেশ দেন। এবারের নির্বাচনে মহাজোট থেকে ২৯টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এর বাইরে আলাদাভাবে আরও ১৪০টি আসনে উন্মুক্ত প্রার্থী রাখার কথা জানায় জাতীয় পার্টি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- নৌকা নয়, ধানের শীষ ঠেকাতেই এই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

মহাজোটের বাইরে আলাদা প্রার্থীদের বিষয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘মহাজোট মনোনীত যেসব প্রার্থী আছে, তারা ছাড়া অন্যদের সরে যেতে হবে। মহাজোটকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, ‘মহাজোট সরকার উন্নয়নের রোল মডেল। এবারের নির্বাচনে মহাজোটই জিতবে। কারণ বিএনপির অতীত ইতিহাস ভালো না। নৌকা নয়, ধানের শীষ ঠেকাতে জাপার আলাদা প্রার্থী।’জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিনির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কবি মানুষ, এ কারণে উল্টাপাল্টা বকছে। লেভেল প্লেয়িং কী জিনিস? যারা লেভেল প্লেয়িং নিয়ে কথা বলছে, তারা কি আদৌও এর অর্থ জানে?।’

সাংবাদিকদের তিনি জানান, জাতীয় নির্বাচনে ঢাকায় জাতীয় পার্টির দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আবু হোসেন বাবলা ও কাজী ফিরোজ রশীদ। এদের জেতার সম্ভাবনা কম বলেও মন্তব্য করেন এরশাদ। রংপুরের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এরশাদ। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি রংপুরে এতদিন যেতে পারিনি। তবে রংপুরে যাবো। রংপুরের মানুষ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করি, রংপুরবাসী এবার এই আসনটি মহাজোটকে উপহার দেবে।’

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আরও বলেন, ‘জনগণ এই সরকারের পক্ষে আছে। ভোটের যে পরিবেশ বজায় রয়েছে, তাতে আমরা খুশি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।তবে আমার শরীরটা ভালো না। আমার বোন শেখ হাসিনার জন্যই আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমি ঢাকা-১৭ আসনটি ছেড়ে দিয়েছি। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুককে সমর্থন দিয়েছি।’