রামু সংবাদদাতা:
রামুতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পথসভায় রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাজ উদ্দিন রাসেলের নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর রামু মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযায় কক্সবাজার-৩ (রামু-সদর) আসনের মহাজোট প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল মনসুর, নিহত রাসেলের ভগ্নিপতি রাশেদ আলী, ছোট ভাই মোহাম্মদ রুবেল ও তছলিম ইকবাল সোহেল বক্তব্য রাখেন।

নামাজে ইমামতি করেন, মাওলানা ছৈয়দ নুর। জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে রাসেলকে দাফন করা হয়।

জানাযায় অংশ নিয়েছেন হাজারো শোকার্ত জনতা। তাজ উদ্দিন রাসেল (৩২) রামু উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। তিনি রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মরহুম মনজুর আলমের ছেলে। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে তিনি প্রাণ হারান। আরব আমিরাত প্রবাসী রাসেল নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিতে দুদিন আগে (২৩ ডিসেম্বর) দেশে আসেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটা গ্রামে মহাজোট প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের নির্বাচনী পথসভা চলাকালে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার এক ঘন্টা পর সভাস্থলের অর্ধ কিলোমিটার দূরে বদুপাড়া এলাকায় উপুড় হয়ে থাকা রাসেলকে দেখতে পায় মহাজোট প্রার্থী কমলের সফর সঙ্গীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

রাসেলের ছোট ভাই রুবেল জানাযা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্যে বলেছেন, চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছে স্ট্রোকে রাসেলের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে পরিরারের পক্ষ থেকে কাউকে দোষি কিংবা মামলা করা হবে না।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল মনসুর জানিয়েছেন, রাসেলের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্তে রাজি হয়নি। তাই এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য রাসেল মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ বছর বয়সী পুত্র সন্তান, ২ ভাই, ২ বোন রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো রামুতে বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ।