বার্তা পরিবেশক :
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কক্সবাজার-৩ আসনের সদর ও রামুতে ধানের শীষ সমর্থক প্রায় আড়াই হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে এবং এরমধ্যে দেড়শতাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ধানের শীষের সমর্থক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রামু থানায় ১৮টি এবং কক্সবাজার সদর থানায় ৬টি মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। এতে ২৩ দলীয় ঐক্য জোটের নেতাকর্মীসহ ধানের শীষের প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থককে আসামী করা হয়েছে এবং এসব মামলায় এই পর্যন্ত দেড় শতাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সদর থানায় আরো ৪টি মিথ্যা মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে রামুর ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। যেখানে আমি গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করছি, সেখানেই পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থী। পুলিশকে জানানো হলে তারা উল্টো আমাকেই গণসংযোগে না যেতে নিষেধ করছেন।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কাজল বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর নেতৃত্বে রামুর বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের অফিস ভাংচুর, বাড়িঘর ভাংচুর, নেতাকর্মীদের মারধর ও হাতকেটে নেয়ার হুমকীর কারণে রামুতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। এখন কক্সবাজার সদরেও সেই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য শত শত নেতাকর্মীকে আসামী করে একের পর এক মিথ্যা মামলা রুজু করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের পাশাপাশি পুলিশও যেন আমাদের প্রতিপক্ষ। ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে সকলের ট্যাক্সের পয়সায় লালিত রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনীর কিছু লোকের এমন আচরণ অন্যায্য ও অবিচারমূলক।’
বিএনপি প্রার্থী বলেন, পুলিশ একেতো দিচ্ছে মিথ্যা দিচ্ছে, তার উপর পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মিলে ধানের শীষের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালাচ্ছে। এমন নারকীয় পরিস্থিতিতে আমি নিজের জীবন নিয়েই শংকায় রয়েছি।’
তিনি ‘বর্তমান সরকারের এমন নির্যাতন একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কয়েকশত গুণ নির্মম’ বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘একাত্তরে যেভাবে আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেভাবেই দেশের জনগণের মালিকানা রক্ষায় এখন আমরা ঐকবদ্ধ হয়েছি। শত নির্যাতন সয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব, ইনশাল্লাহ।’