বাংলা ট্রিবিউনঃ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পোশাকের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বলছি— অতি উৎসাহিত হয়ে কোনও অনভিপ্রেত ও আচরণ করবেন না। আপনারা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এছাড়া, জাতীয় নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনা আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর একটি সহিংসতামুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না করতে পারলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। আমরা তা হতে দিতে পারি না।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন কেবল অংশগ্রহণমূলক হলে হয় না, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও আইনানুগ হতে হয়। এছাড়া, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো না। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে আমরা কলঙ্কিত হতে চাই না। নির্বাচনে যিনি বা যারাই জয়লাভ করুক, দেশের মানুষ যেন পরাজিত না হয়।’

মাহবুব তালুকদারের বার্তামাহবুব তালুকদারের বার্তা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পোশাকের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বলছি— অতি উৎসাহি হয়ে কোনও অনভিপ্রেত ও আচরণ করবেন না। আপনারা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। প্রত্যেকের প্রতি সম-আচরণ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন আপনাদের কর্তব্য। নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ হতে বিরত থাকুন। নিজের পোশাকের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের বলছি, জাতির ক্রান্তিকালে আপনারা এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন। বিবেক সমুন্নত রেখে অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে আইন অনুযায়ী নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণে আপনাদের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। কোনও কলুষিত নির্বাচনের দায় জাতি বহন করতে পারে না।’

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বলতে চাই, নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিন। ভয়-ভীতি বা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। আপনার একটি ভোট গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ মনে রাখবেন। এবারের নির্বাচন আমাদের আত্মসম্মান সমুন্নত রাখার নির্বাচন। এবারের নির্বাচন আগামী প্রজন্ম ও আপনাদের সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের নির্বাচন।’