ডেস্ক নিউজ:
জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা বৈধ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. আলী হোসেন, মো. এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবিরের পক্ষে বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

একইসঙ্গে রিট আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন (মেনশন) করার পর এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

পরে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। পরে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।

ওই রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১)(বি)(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী। রায় এখনও বহাল।

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন নেই, সেহেতু ওই দলের কোনও নেতা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছেন না। অন্য দলের প্রতীকেও তাদের ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও জামায়াতের নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ইসি হাইকোর্টের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের বিভিন্ন বিধির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’

এর আগেও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ৪ জন নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে ও স্বতন্ত্র ৩জনের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার বৈধতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদনের ওপর কোনও সাড়া না পেয়ে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির, সেক্রেটারি জেনারেল ও মনোনীত ২৫ প্রার্থীসহ মোট ২৯ জনকে বিবাদী করা হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে জামায়াতের মোট ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে করা রিটকারীদের আবেদন ৩ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।