জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ১টি আসন সন্দ্বীপে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

ইতোমধ্যে ১৬টি আসনে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও নৌবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। এক একটি আসনে তিনটি থেকে পাঁচটি পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আজ থেকে বিভিন্ন আসনের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন এবং রাস্তাঘাট পর্যবেক্ষণ করবেন।

যে সকল আসনে সেনা মোতয়েন করা হয়েছে সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) এবং চট্টগ্রাম-৮ এর বোয়ালখালী এলাকা। এ আসনগুলোয় নবগঠিত কক্সবাজার সেনানিবাস থেকে সেনাসদস্যরা আসছেন।

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু–আকবর শাহ), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া), চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-খুলশী) এবং চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে সেনাসদস্য মোতয়ান করা হয়েছে। এ আসনগুলোয় চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে সেনাসদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছ। সন্দ্বীপে নৌবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও পরে আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচন কমিশন অথবা অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর এ মোতায়েন ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’- এর আওতায় হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে টহলসহ অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনী ও ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনী টহল দেবে। জরুরী প্রয়োজনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান প্রস্তুত রাখা হবে। ইভিএম সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা প্রদানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয় সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আইএসপিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রতিটি জেলা-উপজেলা-মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

‘উপকূলীয় ১৮টি উপজেলা ও সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলা ব্যতীত অন্যান্য সকল এলাকায় সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় ১৮টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলায় বিজিবি কার্যক্রম পরিচালনা করবে’।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কর্তৃক জরুরি প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখা হবে।

‘পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী-নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন সেল স্থাপন করা হবে’।

সেনা ও নৌবাহিনী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। এক হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি এখন মাঠে কাজ করছে।