প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ দাবি করেছেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের কোন সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। আওয়ামী সন্ত্রাসিদের অব্যাহত সশস্ত্র হামলায় চরম নিরাপত্তাহীনতার কারণে ৭ দিন ধরে প্রচারণা কাজ করতে না পেরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।

তাঁর অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতৃত্বে চকরিয়া-পেকুয়ায় বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।

তিনি রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে তাঁর পেকুয়াস্থ বাস ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

হাসিনা আহমদ বলেন, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় মামলা নিয়ে গেলেও পুলিশ আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা দিয়েছে।

তাঁর দেয়া তথ্য মতে, চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এমনকি একজন পাগলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ‘বিএনপি ক্যাডার’ বানিয়ে মামলা দিতেও পুলিশের চক্ষুলজ্জা হয়নি।

হাসিনা আহমদের অভিযোগ, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন, আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না তিনি।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়েই ১৩টি মামলা করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ পুলিশ ব্যবহার করে চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় এসব মামলা করে সহ¯্রাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে ফাঁসিয়েছে। এসব মামলায় সংবাদ কর্মী, বিদেশে অবস্থানকারি ও কারাগারে থাকা লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে। এমনকি সংবাদিকদের একটি অটোরিক্সার চালককেও আসামি করা হয়।

তিনি বলেন, মো. হোসেন ওরফে হোসেন পাগলাকে চেনে এমন মানুষ পেকুয়ায় নাই। তিনি যে পাগল সে কথাও সবাই জানেন। অথচ সেই পাগলকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে প্রধান আসামি বানিয়ে মামলা করেছে।

তাঁর মতে, গণসংযোগ ও পথসভা, হাউজ ক্যাম্পিংয়ের মতো নির্বাচনী কজে বিনা উস্কানিতে নৌকার প্রার্থীর নেতৃত্বেই স্বশস্ত্র সন্ত্রাসিরা বেশির ভাগ হামলা করছে। গুলিবর্ষণ করে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্ঠা করছে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ এসব হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভোট থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা করছেন।

তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, সারাদেশের মতো তাঁর নির্বাচনী এলাকায়ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছুই নেই।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপনারা জাতির কাছে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের যৌথ পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের চিত্র তুলে ধরুন।

প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবে না বলেও শংকা প্রকাশ করেন তিনি।