বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোট মনোনিত আপেল প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদের বাড়ি ঘেরাও করে বিনা কারণে তিন কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ।  রোববার বিকাল ৩টায় এই ঘটনা ঘটে। একই সাথে তাঁর নির্বাচনী কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা, হামলা ও প্রচারণায় বাধা দিয়েও ‘রক্ষা’ না হওয়ায় এবার কর্মীদের ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না আওয়ামী লীগের লোকজন। এতে মদদ দিচ্ছে পুলিশ। কারাবন্দী হামিদ আযাদের স্ত্রী জেবুন্নেছা হামিদ এই অভিযোগ করেছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ মতে, নির্বাচনী আচরণ বিধি মনে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে আপেল মার্কার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন হামিদ আযাদের স্ত্রী জেবুন্নেছা হামিদসহ কর্মীরা। তারা গণসংযোগ, মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের লোকজন হামিদ আযাদের আপেল মার্কার প্রচারণায় পদে বাধা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের আপেল মার্কার প্রচারণার গাড়ি ও মাইক ভাংচুর, কর্মীদের উপর হামলা, অবরুদ্ধ করণসহ নানাভাবে বাধা ও নির্যাতন করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ হয়ে কুতুবদিয়া থানার পুলিশ আপেল মার্কার নিরীহ লোকজনকে আটক করছে।

তথ্য মতে, গত ২২ ডিসেম্বর কুতুবদিয়ায় আপেল মার্কার প্রচারণার ছয়টি মাইকিং মধ্যে তিনটি ভাংচুর করা হয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যায় ধুরং বাজারের পাশে নুরার পাড়ায় ধুরং যুবলীগনেতা শওকত, জুনাইদ, হোসাইন, আবু ওমর, বাপ্পারাজের নেতৃত্বে মাইক ও সিএনজি সম্পূর্ণ ভাংচুর করা হয়েছে। বিকাল তিনটায় কৈয়ারবিলের নজর আলী মাদবর পাড়া এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আজমগীর ও খোরশেদ আলম কুতুবীর মদদে হামলা হয়। সেখানে মাইক ছিনিয়ে নিয়ে দু’জন কর্মীকে ধাওয়া দেয়। বিকাল চারটায় কৈয়ারবিলের এলমমিয়া রোড এলাকায় মাইক ও গাডি ভাংচুর করে আজমগীর ও খোরশেদ কুতুবীর মদদে। এসময় দু’জন কর্মীকে পিটিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। গণসংযোগকালে আলী আকবর ডেইল এলাকা মাওলানা কামাল উদ্দীন ও বড়ঘোপের রমজান আলীকে বিনা অপরাধে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

হামিদ আযাদ পতœী জেবুন্নেছা হামিদ আরো অভিযোগ করেন, ২৩ ডিসেম্বর কুতুবদিয়া থানার ওসি মাইক কোম্পানিদের ফোনে হুমকি দিয়ে আপেল মার্কার প্রচারণায় মাইক ভাড়া দিতে নিষেধ করেছেন। এতে কোনো কোম্পানি মাইক ভাড়া না দেয়ায় আপেল মার্কার মাইকিং বন্ধ রয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় কুতুবদিয়া হামিদ আযাদের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশী চালায় পুলিশ। এসময় তিন কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়।

জেবুন্নেছা হামিদ বলেন, ‘আপেল মার্কার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ার ভীত হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তাই আমাদের কর্মীদের হামলা-মামলা এবং প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তাতেও পেরে উঠতে না পেরে এখন নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি এবং বাধা দিয়ে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে। ফলে কর্মীরা এখন ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এই অন্যায় ও নির্যাতনের প্রতিকার চাচ্ছি।’