প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ ও তাঁর নির্বাচনী কর্মী এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়ার মহাযজ্ঞ শুরু করেছে। একই সাথে একজন পাগলকে গ্রেপ্তারে করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘হত্যা চেষ্টা’ (!) বলে মামলা সাজাতে পুলিশও আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে।

এমনটাই দাবি করেছে পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম বাহাদুর শাহ ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সর্বোচ্চ এই দুই নেতা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের আঁধারে পেকুয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে নিজেরাই আগুন দিয়ে এখন বিএনপি প্রার্থী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

তারা বলেন, শনিবার সকালে ভোলাইয়্যাঘোনার নজির আহমদের ছেলে মো. হোছন (৩৫) নামের একজন পাগলকে পুলিশ ধরে নিয়ে ওই পাগলকে ‘বিএনপি ক্যাডার’ পরিচয় দিয়ে সাজানো মামলা করার চেষ্টা করছে।

তাদের মতে, মো. হোছন যে একজন পাগল এ কথা এলাকার সবাই জানে। আফসোস, শুধু পুলিশ ও আওয়ামী লীগ জানে না(?)!

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছেন, মো. হোছন সবসময় রাস্তায় অপ্রকৃতস্থ হয়ে ঘুরে বেড়ায়। সে কখন কী করে তা কেউ বলতে পারে না। এমন একজন পাগলকে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলাকারি সাজিয়ে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ এক জোট হয়ে মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

বিএনপি নেতারা দাবি করেন, আওয়ামী নেতা আবুল কাশেমকে হামলার কোন ঘটনাই পেকুয়ায় ঘটেনি। বরং আওয়ামী লীগ মামলা সাজানোর জন্য এরকম একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে।

তাদের মতে, ইতিপূর্বেও আওয়ামী লীগের দুইটি নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজিয়ে দুইটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এখন একই রাতে ৫টি নির্বাচনী কার্যালয়ে নিজেরাই আগুন দিয়ে আরো ৫টি মামলার সাজানোর নীলনকশা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ।

সূত্র মতে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পেকুয়া বাজার, টৈটং ইউনিয়নের হাজিবাজার, মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা, উজানটিয়া ইউনিয়নের মধ্যম উজানটিয়া ও উত্তর করিমদাদ ঘাটের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে শুক্রবার রাতে নিজেরাই আগুন দেয়।

কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সাজানো ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগের এই সাজানো ঘটনা ও সাজানো মামলার প্রস্তুতি এবং একজন পাগলকে গ্রেপ্তার (!) করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ও তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজটি করেছে।

এই ধরণের ঘটনাকে তিনি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত ও নিকৃষ্ট রুচির পরিচয় বহন করে বলে উল্লেখ করেছেন।