বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার- ২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোটের মনোনিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য কারাবন্দী এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদের স্ত্রী অভিযোগ বলেছেন, তাঁর স্বামীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত ও ভীত হয়েই তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। একই সাথে তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বশীল ও সমর্থকদের উপর হামলা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। দায়ের করা হচ্ছে মিথ্যা মামলা।

শনিবার কুতুবদিয়ায় হামিদ আযাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ছৈয়দুল আলমকে বিনা অপরাধে পুলিশ কর্তৃক আটক এবং মাইক ও গাড়ি ভাংচুর করে দু’কর্মীর উপর নিষ্ঠুর হামলার প্রতিবাদে আয়োজন করা এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই অভিযোগ করেছেন।

এসময় হামিদ আযাদ পত্নী জেবুন্নেছা হামিদ বলেন, সরকারের মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে আমার স্বামী কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্টে বন্দী রয়েছেন। তাঁকে কারাগারে বন্দী রেখেও মহেশখালী-কুতুবদিয়া জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি। বরং তাঁর জনপ্রিয়তা আরো বহুগুণ বেড়েছে। তিনি মাঠে না থাকলেও তাঁর পক্ষে ভোটের জন্য কাজ করছে সাধারণ জনগণ। একই সাথে চারিদিকে তার জয়ের গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এতে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন আমাদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। ভাংচুর করা হচ্ছে মাইক ও গাড়ি। বিনা অপরাধে আটক করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। কিন্তু জনগণ সব বাধা অতিক্রম করে ৩০ ডিসেম্বর ব্যালেটের মাধ্যমে হামিদ আযাদকে বিজয়ী করবে।

শুক্রবার রাতে কুতুবদিয়া বড়ঘোপে আপেল মার্কা প্রচারণা গাড়ি ও মাইক ভাংচুর এবং প্রচারণায় নিয়োজিত রাইয়ান ও রহিম নামে দু’জনকে বেদম মারধর করেছে তিনি জানান। এতে রাইয়ান গুরুতর আহত হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ধূরংয়ে হামিদ আযাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ছৈয়দুল আলমকে বিনা অপরাধে পুলিশ কর্তৃক আটক করেছে বলে তিনি জানান।

হামলা ও মামলা উপেক্ষা করে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় আপেল মার্কার পক্ষে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে হামিদ আযাদ পত্নী জেবুন্নেছা হামিদ ও ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। শনিবারও কুতুবদিয়া বড়ঘোপ, কৈয়ারবিল, আলী আকবর ডেইলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন জেবুন্নেছা হামিদ। একই সাথে নেতাকর্মীরা মহেশখালী ও কুতুদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় নিরলস গণসংযোগ করেছেন।