৭১”-সালের স্বাধীনতার ফলাফল;
“১৭”-সালে নতুন রূপে রূপান্তরিত।

–মোঃ ফিরোজ খান

৭১-এর অর্জিত স্বাধীনতা ১৭-এর সহনশীলতা
গড়ে উঠেছে ব‍্যবধানে নতুন স্বপ্নের বাংলাদেশ
আমরা এগিয়ে আছি অগ্ৰযাত্রা নিয়ে নতুন পথে
আজ হতে পেরেছি একে অপরের জাতি-ভাই।

৭১-বিজয় ফলাফল ছিলো সকল কষ্টের সাক্ষী
বহু ত‍্যাগের বিনিময়ে আলোকিত হয়েছে বাংলা
অর্জিত হয়েছে নতুন বাংলা ও একটি মানচিত্র
স্বাধীনতা সকল,বাঙালির বড় অবদানের চিত্র।

শুধু”বাঙালির জন্য”৭১-এর জয় ছিল সুখের
১৭-এর সহনশীলতার ফলাফল ছিল বিজয়ের
এই দিনে দুচোখে দেখি সকল রোহিঙ্গাদেরকে
মিয়ানমার থেকে আশা অসহায় ভাই বোনদের।


রোহিঙ্গাবাসি ভাই-বোনদের আহাজারি ও কষ্ট
থেমে নেই কোনো মুসলিম সংগ্ৰামী বাঙালি
কর্তব্য পালনে সকলেই যেনো থাকে এক হয়ে
সবাই মিলেমিশে সহযোগিতা করবে ওদেরকে।

সত্যিই আজ প্রমাণিত হল“মানুষ,মানুষের জন্য ”
টেকনাফ ও তেতুলিয়ায় আছে দেশেের মানুষ
“দশ লক্ষ্য”রোহিঙ্গাবাসীকেে করতে সেবা সাহায্য
বাংলাদেশের মাটিতে করতে বসবাস একসাথে।

রাখবেে বাঙালির হাতে হাত শক্ত করে একত্রে
৭১-এ স্বাধীন হ‌ওয়া বাংলায় মিলেমিশে থাকতে
রোহিঙ্গাদের দেখবো সবাই আপনজন ভেবেই
দিবনা কখনও কষ্ট রোহিঙ্গাদের মনে কিছুতেই।

ওরাও’ সৃষ্টি ,রক্তে মাংসে  একই রকম দেখতে
হতে পারে ওরা অসহায়-গরীব, কিংবা রোহিঙ্গা”
তবুও ওদের পরিচয়,ওরা নয় গরীব ওরাও মানুষ
ওরা ও সৃষ্টির সেরা জীব“সকল সৃষ্টি জগতের।

“মানুষ মানুষের জন্য”একথাই চিরসত‍্য ও ধন‍্য
ভালোবাসে ওরা ওদের কষ্টের ছোট জীবনকে
তাইতো পালিয়েছে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে
“মানুষের মাঝে বসবাস করবে বলে একসাথে।

“মানুষ”মানুষের জন‍্যে একথাই মানবে সকলে
৭১-এর সংগ্ৰামে হয়েছি আমরা সফল ও বিজয়ী
১৭-যেনো ৭১-এর বিপরীতে থাকা এক বড় শক্তি
বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সুনামে হয় মুখরিত।

একটি কথা বলে দেয় বারে বারে সকল সফলতা
সততার কথা বিশেষজ্ঞগণ লিখে যান প্রকাশে
বাংলাদেশের সকলেই মেনে চলবে সঠিক কথা
সততার পথে চলবে সত‍্যের মানুষের পরিচয়ে।

বাঙ্গালীরা কাদঁতে জানে কষ্টকে সহজেই মানে
বিপদে করবেন আল্লাাাহ সবসময় সাহায‍্য সেবা
মাথা গোজার ঠাঁই অবশ্যই পাবে রোহিঙ্গারা
আমরা মুসলিম আমরাই বিজয়ী সন্তান দেশের।

কোথাও অভিযোগ না পাই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে
সবাই চলব সবসময় মনে শক্তি নিয়ে একসাথে
দাড়িয়েছি টেকনাফে রোহিঙ্গাদের পাশে গিয়ে।
থাকবো রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি করতে সাহায্য।

বাংলাদেশ দাড়িয়ে গিয়েছে মনে শক্তি জুগিয়ে
আমরা সকল মুসলিম জাতি একে অপরের ভাই
এক মুসলিম অন‍্য মুসলিমের সঙ্গী সাথি মানব
আজকের শিশু আগামীকালের বাংলার চিত্রর।

সামনের দিকে নতুন ভাবে দেখব বাংলাদেশ
আমরা পারি আমরাই গড়ি স্বপ্নের সুন্দর স্বদেশ
কোনো দেশ পারেনি যা কখনও পেরেছি আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে করেছি প্রমাণ।

ঠিক আজ মনে পড়ে সুকান্ত ভট্টাচার্যের কথা
তার  ছাড়পত্র”কবিতায় প্রকাশ করে লিখেছেন
“যে কথাগুলো;’তা যেন চিরসত‍্য লিখব আমি
লিখতে চাই সুকান্তের মূল‍্যবান কবিতার কথা।

আমার এই(১৭ ও ৭১) কবিতার পাতায় রাখতে
“অবশেষে সব কাজ সেরে,“আমার দেহের রক্তে,
নতুন শিশুকে করে যাব আশীর্বাদ, সবসময়
তারপর হবো ইতিহাস”বাংলাদেশের পরিচয়ে।

“বলে যাই আমি,একটি কথা–শোনো সকলেই
“মনোবল আর শক্তি মনেতে রেখে চিরকাল
৭১এর কষ্টকর জয় বলে ১৭ নতুন জয়ের কথা
বিপরীতে লেখা ৭১”ও ১৭”এর বিজয়ে গাথা।

মনে থাকে আলো খারাপ কথাও লাগে ভালো
সকলের কাছে হয়তো লাগেনা খারাপ ভালো
“মানুষ”মানুষের জন্য জীবন ধন‍্য দেশের জন্য
এইকথাটি মেনে চলব  সকলেই  সবসময়।

সকলের জীবন তখনই হবে ধন‍্য ও পরিপূর্ণ
হোক না ওরা ভিনদেশী তবুও ওরা মানুষ জাতি
দিবো রোহিঙ্গাদের বাংলার মাটিতে আশ্রয়
বাংলাদেশের মানচিত্রে থাকবো হেসেেখেলে।

অভিবাসীরাও মানুষ,কখনও “অভিশপ্ত নয়”
পৃথিবীতে নতুন কিছু গড়ে ইতিহাস হয়েছে যারা
তারাও ছিলেন অনেকেই অভিবাসীত অদিবাসি
একথা লেখা ইতিহাসের বিভিন্ন পাতায় পাতায়।

দেখা যায় ইতিহাসে সকল জয় যা ছিলো  সত্য
বিভিন্ন ইতিহাসের পাতায়,স্বর্ণাক্ষরে লেখা বিজয়
“আইনস্টাইন; ছিলেন একজন”অভিবাসী;মানুষ
কথা চিরসত‍্য আছে কলমে লেখা বইয়েতে।

বিভিন্ন ভাবে  ইতিহাস দিয়েছে সঠিক প্রমাণ
চলবো মেনে ইতিহাসের কথা সকলেই সবসময়
ভুলে যেন না যাই কভূ,,,মানুষ, মানুষেরই জন্য।
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনাও ভাই।

“অভাব থাকেনা চিরকাল”

জগত সংসার মানব মানে
চলছে জীবন তারই টানে
তবুও থাকে চাহিদা জীবনে
পূরণ হয়না সব চাওয়া সমানে।

মানব জানে কি হয় কিসে
তবুও থাকে ক্ষুধা পেটে
তারই জন্য জগত সংসার
নিতে হয় যে সকলের মেনে।

আমরা খুঁজি সবাই অন্ন
বেঁচে থাকতে এই ভূবনে
কেউবা করি চাকরি-ব‍্যবসা
তবুও যায়না অভাব মোছা।

জীবন মোদের আল্লাহর দান
তার‌ গুনগান করবো সবাই
দেখবো তখন ভিন্ন জগত
থাকবেনা কভূ অভাব চিরকাল ।