প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেছেন আশেক উল্লাহ রফিক’কে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসীকে ধন্য করেছেন। আগামি ৩০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া উত্তর মহেশখালী একটি পৃথক উপজেলা বাস্তবায়নের কাজ তরান্বিত হবে। এই ব্যাপারে আমি পুর্ণ সহযোগীতা করে যাব।

তিনি আরো বলেন, দেশ এখন দুইভাগে বিভক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের লোকজন। অপর পক্ষ দেশ বিরোধী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কতিথ ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। এই দেশ বিরোধী চক্র দেশের অগ্রগতি রুখতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে এ চক্রটি ধর্মের নাম ব্যবহার করে পাড়ায় মহল্লায় দেশ প্রেমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করছে। এ ধরণের হামলা তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।

তিনি আরো বলেন, বিগত ৫ বছরে মহেশাখালী-কুতুবদিয়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা অভুপূর্ব। বিগত সময়ে এমন উন্নয়ন কেউ করতে পারেনি বিধায় তারা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি এখন দেশে অন্যতম পরিচ্ছন্ন সাংসদ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাই দেশ রক্ষায় এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এনেছেন এদেশের স্বাধীনতা আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিচ্ছেন দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি।

তিনি শুক্রবার বিকাল ৪টায় কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ময়দানে আশেক উল্লাহ রফিক তথা নৌকা প্রতীকের সমর্থনে আয়োজিত এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, অচিরেই মহেশখালী জনতা বাজার সড়ক পুননির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৩ কোটি টাকা। বিগত ৫ বছরে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মানুষের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মহেশখালীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ এবং মকতবে অকাঠামো উন্নয়নসহ সর্বোচ্চ সহযোগীতার চেষ্টা করেছি। সকলের প্রতি শ্রব্ধা ও ভালবাসা অক্ষুন্ন রেখে নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। মহেশখালীবাসীর প্রাণের দাবী লবণের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করেছি। মহেশখালীর অর্থনীতির অন্যতম মিস্টিপানে ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। আগামিতে মিস্টিপান বিদেশে রপ্তানী আরো বৃদ্ধি করতে আরো জোর প্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। নিজেকের দূর্নীতিমুক্ত রেখে কাজ করেছি। সম্প্রতি মহেশখালীতে একাধীক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় বিপুল পরিমান কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এতে স্থানীয়দের নিয়োগ পেতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। তিনি আরো বলেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। অন্যরা ক্ষমতায় আসলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। দেশের স্বীকৃত দুর্নীতিবাজরাই এখন দেশ বিরোধী চক্রকে পরিচালনা করছে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তারা মহিলাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, যিনি মহেশখালীকে সন্ত্রাসের জনপথে পরিণত করেছিল তিনি আবারো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট চাইতে এসেছেন। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, আওয়ামী লীগের রক্ত কোনদিন বেঈমানি করে না। কালারমারছড়ার মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে বার বার তা প্রমান করেছে। আগামি ৩০ ডিসেম্বর নৌকাকে বিজয়ী করে আবারো প্রমান করব কালারমারছড়ার মাটি নৌকা মার্কার ঘাটি।

কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বশির আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম বদন ও নুরুল আলম টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন, মাহবুবুল হক মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা ওসমান গণী, কালারমারছড়ার চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম, ধলঘাটার সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু, মাতারবাড়ির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ, ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, চকরিয়া শাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা সোহেল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন, শাপলাপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম, কৃষকলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ, মাতারবাড়ির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু হায়দার, আমান উল্লাহ তোতা, কৃষকলীগের নেতা গিয়াস উদ্দিন, সাবেক যুবলীগ নেতা নুরুল আমিন, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল হাকিম, যুবলীগ সভাপতি হাসান আরিফ, শ্রমিকলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, সোহেল আহমদ অঞ্জন ও ছাত্রলীগ নেতা আবদুস সালাম ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মোহাম্মদ হাসানি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম আজিজুর রহমান, মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডঃ আবু তালেব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিল্পব, কাউন্সিলর আবদুল কাদের।