বার্তা পরিবেশক:
বহুল আলোচিত কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের চার হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে যোগ্যতা ও জনগণের সমর্থনে শীর্ষে রয়েছেন মাছ মার্কার প্রার্থী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী আলহাজ¦ ড. আনসারুল করিম। ভিন্নভাবে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বিপুল ভোটার তাঁকে ভোট দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে এসব ভোটাররা এখন মুখ খুলছে না। শেষ পর্যন্ত মুখ বন্ধ রেখেই তারা ৩০ ডিসেম্বর মাছ মার্কায় ভোট দিয়ে ড. আনসারুল করিমে বিজয়ী করে মহান জাতীয় সংসদে পাঠাবেন। মহেশখালী-কুতুবদিয়ার অনেক মানুষের সাথে বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের আলোচিত কক্সবাজার-২ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার হেভিওয়েট প্রার্থী। তারা হলেন নবম সংসদ নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান মাছ মার্কার প্রার্থী প্রফেসর ড. আনসারুল করিম, নৌকার প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হামিদুর রহমান ও বিএনপির প্রার্থী আলমগীর ফরিদ। নানা কারণে অন্য চার প্রার্থীর সন্তুষ্ট নয় ভোটাররা। শান্ত, সজ্জন, জনদরদী ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ড. আনসারুল সব প্রার্থীর উর্ধ্বে রয়েছেন। নবম সংসদের রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে জনগণের কাতারে ছিলেন তিনি। তাই এবার মার্কা নয়, ব্যক্তিগতভাবে তাঁেকই যোগ্য মনে করছেন। তাই তাঁকে ভোট দেয়ার জন্য মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন।
ভোটাররা বলছেন, নৌকার প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তিনি শেষ পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নৌকার মনোনয়ন পাননি। কিন্তু জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ভিন্ন মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের মাঠের রাজনীতির নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা এখনো তাঁকে অনেক ভালোবাসেন।
অন্যদিকে আলমগীর ফরিদ শেষ মুহূর্তে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে তারও ড. আনসারুল করিমের জন্য প্লাস পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা নৌকার প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক এবং ধানের প্রার্থী আলমগীর ফরিদ চাচা-ভাতিজা। দল ভিন্ন হলেও নানা কারণে দু’জন একই ঘরানার লোক বলে দাবি জনগণের। সেই কারণে পরিবারতন্ত্র এবং তাদের একই ধারার রাজনীতিকে মহেশখালীর মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। ভোটাররা মনে করছেন- তারা চাচা-ভাতিজা যেই হোক; ভোটের পর দু’জনই ‘একঘাটে পানি খাবেন’! এদিকে ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত আপেল মার্কার প্রার্থী হামিদুর রহমান আযাদ জেলে থাকাসহ নানা কারণে তাঁর উপর ভোটারদের আকর্ষণ নেই। তাই মার্কা নয়; ব্যক্তিই এখন ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে এই আসনে। যে বিবেচনায় ড. আনসারুল করিমের পক্ষেই ভোটার সমর্থন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবে নানা চাপ ও প্রতিকূল পরিস্থিতি কারণে ভোটাররা মুখ খুলতে পারছে না। তারা নীরব থেকে শুধু ৩০ ডিসেম্বর ভোট দেয়া অপেক্ষায় রয়েছেন ভোটাররা।
এ প্রসঙ্গে ড. আনসারুল করিম বলেন, আমি দীর্ঘদিন মহেশখালী-কুতুবদিয়া মানুষের সাথে রয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ ও আশির্বাদ নিয়ে নৌকার জন্য মাঠ গুছিয়েছিলাম। সব কিছু ঠিকঠাকও ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রহস্যজন কারণে আমি নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি। মনোনয়ন না পাওয়া আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মহেশখালী-কুতুবদিয়া আপামর জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে আমাকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। তাই ভিন্ন প্রতীকে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতিতে প্রতীক নয় প্রার্থীই যোগ্যতা নিয়ে ভোটাররা ভাবছেন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মানুষ নানাভাবে বঞ্চিত ও নির্যাতিত। তাই এবার আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।