ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
বনি আক্তার, মোহাম্মদ মামুন, ইতি আক্তার, মোহাম্মদ নাছির ও মাহমুদা ঢাকার মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কক্সবাজার আসে।
পর্যটক সেজে ভাড়ায় উঠে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেলে।
তারা কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে বেড়ায়। সমুদ্র তীরেও বেশ আড্ডা করে।
তাদের মিশন কি কেউ কি জানে? চাল চলন হাবভাবে চেনার সুযোগ নেই তাদের।
তারা আসলেই পর্যটক নয়। কক্সবাজারে এসেছে ছিনতাইকারী হিসেবে।
শুধু এ বছর নয়, প্রতিবছরই পর্যটন মৌসুমে তারা  কক্সবাজার বেড়াতে এসে চালিয়ে যায় চুরি ও ছিনতাই কর্ম।
এমন তথ্য উঠে আসে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়ার পর খোদ তাদের স্বীকারোক্তিতে।
১৯ ডিসেম্বর কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে ঝিনুক মার্কেটে অভিনব কায়দায় পর্যটক এর ভ্যানিটিব্যাগ চুরি করার অভিযোগে বনি আক্তার, মোহাম্মদ মামুন, ইতি আক্তার, মোহাম্মদ নাছির ও মাহমুদা এই পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান প্রদান করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল আশরাফ জয়।
সাজাপ্রাপ্ত বনি আক্তার, মোহাম্মদ মামুন, ইতি আক্তার, মোহাম্মদ নাছির ও মাহমুদাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা একই পরিবারের সদস্য পরিচয় দিলেও তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে, তারা ছিনতাই কর্মে যে পারদর্শী তা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযান পরিচালনাকারী কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল আশরাফ জয় জানান, সাজাপ্রাপ্তরা দুপুর দেড়টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের ঝিনুক মার্কেটে কেনাকাটার সময় এক মহিলা পর্যটকের ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়। বিকেল চারটার দিকে ঠিক একই মার্কেটের একই জায়গায় আবার চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানদারেরা সন্দেহ করে তাদেরকে ধরে ফেলে। পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়।
স্বীকারোক্তিতে তারা জানিয়েছে, প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত হোটেল ভাড়া করে এই কাজ করে। পরে ঢাকায় চলে যায়। এ বছরও তারা চুরি ছিনতাই করতে কক্সবাজার আসে।
মোঃ সাইফুল আশরাফ জয় জানান, চুরি, ছিনতাইসহ সব অপরাধরোধে সমুদ্রসৈকত এলাকায় প্রশাসনিক অভিযান আরো জোরদার করা হবে। কোন দুষ্কৃতিকারীকে ছাড় দেয়া হবেনা।