জাহাঙ্গীর আলম শামসঃ
ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজারের গুন গাইলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের লবণ (নুন)খায় তাই কক্সবাজারের গুন গাই। সারা দেশের জন্য প্রয়োজনীয় লবণ উৎপাদন হয়। কক্সবাজারে এই লবণ উৎপাদনের সাথে জড়িত চাষীদের আরো সহজ এবং উন্নত জীবনমানের জন্য কাজ করছে বর্তমান সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে লবণ পাচার হতো, সার পাচার হতো। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব কিছু বন্ধ করে লবণ চাষিদের ন্যায্য দাম দিয়েছে। কক্সবাজারের চলমান উন্নয়ন বেগবান এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নৌকায় ভোট দিন।
১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ট রুহুল আমীন স্টেডিয়ামে কক্সবাজার বাসীর সাথে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ রোড করে দিয়েছি। মহেখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। এনএলজি টার্মিনাল বসেছে। খুব শীঘ্রই আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের কাজ শেষ হবে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারকে আরো সুন্দর করে সাজাতে আবারো আওয়ামী লীগকে তথা নৌকায় ভোট দিতে হবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামায়াত প্রচারণায় নাই। তারা এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশের স্বার্থ বিলিন করে দিয়ে হলেও তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেরা অফিস পুড়িয়ে আওয়ামীলীগের উপর দায় চাপাচ্ছে। মারামারি করে আমাদের প্রার্থীর বদনাম করছে। এটা তাদের পুরানো অভ্যাস।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের লবণের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে বলেন, আমি কক্সবাজারের লবণ খাই। তাই আমি চাই লবণ চাষিরা আরো উন্নত পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন করুক। সে জন্য সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কিভাবে সহজভাবে লবণ উৎপাদন করা যায় আগামীতে পরিকল্পনা নেয়া হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের ৪ টি সংসদিয় আসনে নৌকার প্রতিক নিয়ে নির্বাচনকারীদের মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) সাইমুম সরওয়ার কমল এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) শাহিন আক্তারকে পরিচয় করিয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন ৪ টি সংসদীয় আসনে নৌকার প্রার্থীরা।
বক্তৃতা করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল (অব.) ফোরকান আহামদ।