||মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী||

কক্সবাজার-৩ আসনের ২৩ দলীয় ঐক্যজোট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল। চষে বেড়াচ্ছেন, তাঁর প্রিয় এলাকা কক্সবাজার সদর-রামু’র প্রতিটি মহল্লা, অলি-গলি, আনাচে কানাচে । কড়া নাড়ছেন প্রতিটি দরজায়। এ ভাবে প্রতিটি ক্ষন-মুহুর্ত কাটছে লুৎফুর রহমান কাজলের। এ অন্ঞ্চলের গণমানুষের ভালোবাসা আর আবেগের বন্যায় ভাসছেন। মঙ্গলবার ১৮ ডিসেম্বর রামু’র রশিদনগর বটতলী স্টেশন হয়ে সদর উপজেলার ভারুয়াখালী যাচ্ছিলেন গণসংযোগ করতে। ভারুয়াখালীতে পৌঁছার কথা বেলা দু’টোই। এরইমধ্যে দু’ঘন্টারও বেশী সময় দেরী হয়ে গেছে। কিন্তু সময়ের দিকে চেয়ে কি লাভ? ভালবাসা তো সময় মানেনা। শোনেনা- বিলম্বের কৈফিয়ত। পথিমধ্যে ভারুয়াখালী’র বানিয়াপাড়ার বজল আহমদের শিশু পুত্র প্রথম শ্রেণীরর ছাত্র মাঈনুদ্দিন কয়েকঘন্টা ধরে দাড়িয়ে অপেক্ষায় আছে-হৃদয়ে স্থান দেয়া লুৎফুর রহমান কাজল’কে তার বানানো ধানের শীষ উপহার দিতে। লুৎফুর রহমান কাজল ভারুয়াখালীতে নির্বাচনী গণসংযোগে আসার সিডিউল অনেক আগেই বিভিন্নজন থেকে সে জেনে নিয়েছিলো। সে অনুযায়ী মাঈনুদ্দিনের অপেক্ষা। ছোট্ট শিশু মাঈনুদ্দিনের অস্থির অপেক্ষা আর ধৈর্য্য যেন তাকে বার বার পীড়া দিচ্ছে। এ অবস্থায় দূর থেকে একটি লাল গাড়ি আসতে দেখে মঈনুদ্দিনের চোখ ছানাবড়া। সাথে সাথেই মঈনুদ্দিনের বানানো ধানের শীষ হাতে নিয়ে রাস্তায় হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। লুৎফুর রহমান কাজলের চাল খোলা গাড়ি মঈনুদ্দিনের কাছে পৌঁছতেই শিশু মাঈনুদ্দিনের দিকে দৃষ্টি পড়লো তাঁর। গন্তব্যে পৌঁছতে ইতিমধ্যে অনেক বিলম্ব। কিন্তু ভালবাসা তো আর সময়ের বাধ্যবাধকতা মানেনা। শত ব্যস্ততা আর সময়কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে লুৎফুর রহমান কাজল তাঁর গাড়ি থামিয়ে দিয়ে মঈনুদ্দিনের কাছ থেকে তার বানানো ধানের শীষ প্রতীকটি সানন্দে গ্রহন করে ভালোবাসার তৃপ্তির ঢেকুর গিললেন। মনে হলো-গণমানুষ, আবাল, বৃদ্ধ, শিশু কিশোর, ধর্ম-বর্ণ সবার ভালোবাসার কাঙ্গাল লুৎফুর রহমান কাজল যেন-হাতে আকাশ ছু্ঁতে পেরেছে। আবার মঈনুদ্দিনও তার বানানো ধানের শীষটি প্রিয় নেতার হাতে তুলে দিতে পেরে নিজেকে শতভাগ সার্থক মনে করছে। দৃশ্যটি দেখে মনে পড়লো- প্রখ্যাত সংঙ্গীত শিল্পী “আশা ভোশলে”র গাওয়া সেই বহুল জনপ্রিয় গান-“ছোট্ট একটা ভালোবাসা-এইতো চায়গো সবাই, একটু শুধু ভালোবাসা-এটাই যেন পায়গো সবাই—“। সেই ভালোবাসার মানসপুত্র স্থান করে নিয়েছেন সদর-রামুর লক্ষ জনতার মনিকোঠায়। ভালোবাসার এই বরপুত্র লুৎফুর রহমান কাজলের জন্য থাকল অফুরান হৃদ্যতা আর শুভেচ্ছা। সফলতা আর বিজয়ে সেই ভালবাসা পূর্ণতা লাভ করুক ৩০ ডিসেম্বর রোববার। এগিয়ে যান। আর পেছনে থাকাবার সময় নয়।

(লেখক: এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, ঢাক।)