বিশেষ প্রতিবেদকঃ

উখিয়া আওয়ামীলীগ অভিযোগ করেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উখিয়ায় বিএনপি প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর সমর্থকেরা একের পর এক সহিংস কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। প্রচারনা শুরু হওয়ার পর থেকে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ, নৌকার অফিসে হামলা ও ভাংচুর, পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রতিনিয়ত তারা হুমকি দিচ্ছে। যার ফলে উখিয়ায় নির্বাচনের পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠছে এবং বিএনপির হঠাৎ এতো সহিংসতার পেছনে উখিয়া থানার ওসির মদদ রয়েছে বলে মনে করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ।

উখিয়ার ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থকেরা নৌকার কর্মী-সমর্থক ও প্রচার প্রচারনায় সহিংসতা করলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। বিশেষ করে উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অাবুল খায়েরের বিএনপির প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাত মূলক আচরণে ক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।

উখিয়ার আওয়ামীলীগ নেতারা দাবি করেছেন, বিএনপির নেতা কর্মীদের সহিংসতার এসব ঘটনা নিয়ে ওসি আবুল খায়েরকে জানানো হলেও তিনি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি।

গত ১৩ ডিসেম্বর উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া স্টেশনে নৌকার পোস্টার লাগাতে গেলে পিপলু ঘোষ নামের এক সংখ্যালঘু যুবককে মারধর করে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর এক ভাতিজা । এছাড়াও রবিবার সন্ধ্যার দিকে ইনানীতে নৌকার অফিস ভাংচুর করে বিএনপির সমর্থকেরা। এর আগে একই এলাকায় নৌকার সমর্থকদের মিছিলে ককটেল হামলা চালায় বিএনপি সমর্থকেরা।

উখিয়া উপজেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, উখিয়া থানার ওসিকে বারবার বলা সত্ত্বেও বিএনপির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ভিত হয়ে পড়েছে সাধারন ভোটাররা।

গত কয়েকদিন ধরে যে ঘটনা সংঘটিত ঘটনার জন্য পুলিশ নিস্ক্রিয়তাকে দায়ি করছে আওয়ামীলীগ। তাদের মতে উখিয়া থানার ওসি অাবুল খায়ের একসময় ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। এ কারণে তার এ নিষ্ক্রিয়তা ।

এই ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, বিএনপির সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। নির্বাচনে তিনি সবাইকেই সমান সুযোগ দিচ্ছে। কোন প্রার্থীর পক্ষে সহিংসতা করলে তাদের ধরা হবে।