টেকনাফ সংবাদদাতাঃ
টেকনাফ সাবরাং এলাকায় ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে আটক ২০ বিএনপি নেতাকর্মীকে কোন ধরণের মামলার কপি ছাড়াই ‘ফরওয়ার্ডিং’ মূলে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে করে আসামীদের কক্সবাজার আদালতে আনা হয়। আসামীদের আনার খবরে গণমাধ্যমকর্মীরা মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানতে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কোন কপি দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
টেকনাফ কোর্টের জিআরও আরমান ছুটিতে থাকায় আসামী সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করেন কক্সবাজার সদর কোর্টের জিআরও চিরঞ্জিব।
মামলার এজাহারের কপি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টেকনাফের জিআরও নই। নির্ধারিত জিআরও ছুটিতে থাকায় আমি তাদের সহযোগিতা করেছি। আসামীদের সাথে মামলার কপি না দিলেও পরে পাঠানো হয়েছে। কোন সময়ে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে কর্মরতরাই জানাতে পারবে।
এ সংক্রান্তে জানতে চাইলে কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল মন্নান বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধি ৬১ ধারা মতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী আদালতে পাঠাতে হবে। মামলার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আসামীদের সাথেই আনতে হবে।
তিনি বলেন, অফিস চলাকালে আসামী পাঠানোর বিধান থাকলেও সন্ধ্যা ৬টার পরে আসামীদের চালান করা আইনকে তোয়াক্কা না করার মতো। এই সময়ে আসামী পাঠানো যেমন রহস্যজনক তেমনি আসামী গ্রহণ করাও ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর বিকালে টেকনাফের সাবরাং এলাকায় শাহজাহান চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলহ্জ্ব আবুল হাশেম, জেলা বিএনপির সদস্য সুলতান আহমদ বিএ, কবির আহমদ মেম্বার, ছব্বির আহমদসহ ২০ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। মামলা নং জিআর ৭৯৩/১৮ এবং জিআর ৭৯৪/১৮।