শহিদুল করিম শহিদঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলা ভবনের পেছনে আইন অমান্য করে সরকারী পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছে উপজেলা সমবায় অডিট কর্মকর্তা বেবী আক্তার।
তিনি মহাশক্তিধর (!) তাই, কোটি টাকার সরকারী এই পাহাড় কেটে আলিশান বসতবাড়ী নির্মাণ অব্যাহত রাখলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রকৃতির পেরেক পাহাড় কেটে এভাবে দালান কোটা নির্মাণের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বসতবাড়িগুলোও ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বান্দরবানে এর লংগদুতে সদ্য বদলি হওয়া কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজিম উদ্দিন অভিযান চালিয়ে নির্মিত বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশনের কাজ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ সময় তিনি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেন।
অভিযানকালে ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতানসহ সংশ্লিষ্টরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অভিযানের কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার শুরু করেন সেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ।
পার্শ্ববর্তী এক বাসিন্দা জানিয়েছে, ক্ষমতাধর (?) বেবী আক্তার মোটা অংকের বিনিময়ে পূনরায় বহুতল ভবন নির্মান করে আসছে।
অভিযোগের বিষয়ে বেবী আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, কি পাইছেন আমাকে? আমি কোন সরকারী সম্পদ দখল করিনি। আমার ব্যাপারে কেন এতো অভিযোগ আসে? আমার পশ্চিম পাশে সরকারী উঁচু পাহাড় কেটে পাঁচ তলা বিল্ডিং তৈরী করেছে। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ফ্ল্যাট ভাড়া দিচ্ছে। তাদের ব্যাপারে কোন দিন কোন অভিযোগ না আসলেও আমার বিরুদ্ধে কেন এত অভিযোগ?
তার স্বামী আনছারুল করিম স্বীকার করেন, এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও নির্বাহী কর্মকর্তা আমার স্ত্রী বেবী ও আমাকে ডেকে নিয়েছিলেন কয়েকবার। অভিযুক্ত বেবী আক্তার দাবী করেন, আপনাদের মত ১০ হাজার সাংবাদিক এসেছিল। আপনাদের আরো কিছু প্রয়োজন হলে ডিসি সাহেবের কাছে যান। আমার জমির বিষয়ে হাইকোর্টের স্থিতি অবস্থা আছে। তবে স্থিতি অবস্থায়ও অবৈধ নির্মাণ অব্যাহত আছে কেন? এর কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বলেন, পাহাড় কাটা, বিল্ডিং তৈরীর বিষয়ে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। কেউ অবৈধভাবে সরকারী সম্পদ দখল করে ভবন নির্মাণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।