শাহেদ মিজান, সিবিএন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার ৪ আসনে প্রতীক পেলো ২৮ প্রার্থী।  সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের নির্ধারিত দিনে এসব প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক পেয়েই সাথে সাথে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্ধারিত দিনে আনুষ্ঠানিক পরিবেশে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। সকাল ১০ টা থেকে প্রার্থীরা এসে প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন। এসময় প্রার্থীদের সাথে অনেক অনেক সমর্থক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ভীড় জমায়।

তথ্য মতে, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সালাহ উদ্দীন আহমদের সহধর্মীনি এডভোকেট হাসিনা আহমদকে ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলমকে নৌকা, মৌলভী মো: ইলিয়াছকে লাঙ্গল, আবু মো: বশিরুল আলমকে হাতুড়ি মুহাম্মদ ফয়সালকে হারিকেন, আলী আজগরকে হাতপাখা, বদিউল আলমকে সিংহ ও তানিয়া আফরিনকে মটর গাড়ি-কার প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিককে নৌকা, জামায়াতের এইচএম হামিদুর রহমান আযাদকে আপেল, ড. আনছারুল করিমকে মাছ, জসীম উদ্দিনকে হাতপাখা, আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মনজুর আহমদকে মোমবাতি, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহকে লাঙ্গল, শাহেদ সরওয়ারকে কুলা, মো: জিয়াউর রহমানকে চেয়ার, মো: শহীদুল্লাহকে হারিকেন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও শেষ মুহূর্তে দল তাঁকে ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোনয় না দেয়ায় আলমগীর ফরিদের মনোনয়ন আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়ায় ধানের শীষের জোটের মনোনয়ন পেয়েও আইনী জটিলতায় তিনি ধানের শীষ প্রতীক পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপেল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলকে ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলকে নৌকা, জাতীয় পার্টির মুফিজুর রহমানকে লাঙ্গল, মোহাম্মদ আমিনকে হাতপাখা এবং মো: হাছানকে টেলিভিশন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপিার প্রার্থী সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রহমা বদিও স্ত্রী শাহীন আক্তারকে নৌকা, জাতীয় পার্টির মাস্টার এম.এ মঞ্জুরকে লাঙ্গল, মোহাম্মদ শোয়াইবকে হাতপাখা, সাইফুদ্দিন খালেদকে হারিকেন এবং রবিউল হোছাইনকে মিনার প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রার্থীরা। মাইকিং দিয়েই প্রচারণা শুরু করেন অধিকাংশ প্রার্থী। প্রার্থীরাও প্রতীক পেয়ে সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেছেন।

রিটার্নিং অফিসার ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন প্রার্থীদের বলেন, ‘নির্বাচনে কোন ধরনের আচরন বিধি লঙ্ঘন যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কোনো প্রার্থীকে ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া বিশৃংখলা হলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’