মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী:
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত একক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট হাসিনা আহমেদ বলেছেন-আমার দেহে প্রাণ থাকতে কাউকে ভোট ডাকাতি করতে দেবোনা ইনশাল্লাহ।

কেউ যদি ভোট ডাকাতির অপচেষ্টা করেন-তাহলে আমার লাশের উপর দিয়ে তাদের ভোট ডাকাতি করতে যেতে হবে।

তিনি বলেন-বিগত ৫ বছর মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীকে ভোট দিতে পারেননি।

৩০ ডিসেম্বর সকল ভোটার স্বাধীনভাবে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সম্মানিত ভোটারদের এই আগ্রহকে প্রাধাণ্য দিয়ে সকল ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

এডভোকেট হাসিনা আহামেদ বলেন-যদি ভোটারেরা অবাধে ভোট দিতে পারে তাহলে ধানের শীষের বিজয় অবধারিত ইনশাআল্লাহ। ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর প্রথম দিনে ১০ ডিসেম্বর পেকুয়ার বিভিন্ন পথ সভায় এডভোকেট হাসিনা আহমেদ উপরোক্ত কথা বলেন।

পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সাথে মতবিনিময়কালে এডভোকেট হাসিনা আহমেদ বলেন, আমার স্বামী বার বার রাষ্ট্রযন্ত্রের চরম প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দীর্ঘ ৬২ দিন গুম করে রাখার পর ভারতের শিলং এ ষড়যন্ত্র মুলক ফেলে দেওয়ার পর এখনো সেখানে আটকে আছেন। সেদেশের আইন তাঁকে নিরপরাধ ঘোষণা করার পরও বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার তাঁর বলিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে তাকে দেশে ফিরতে দিচ্ছেনা। তিনি বলেন-আমার স্বামীকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে আপনারা ধানের শীষে ভোট দিন।

তিনি আরো বলেন, অতীতেও আপনারা আমার স্বামীর অবর্তমানে আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করে চিরঋনী করেছিলেন। আমি আপনাদেরকে দেয়া ওয়াদা মতো আপনাদের প্রিয় সন্তানকে আপনাদের কাছে ফিরিয়ে এনেছিলাম। এবারও আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসরকারের গুম হত্যা নিপীড়নের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবো এবং আপনাদের নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আপনাদের মাঝে ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ। আপনাদের প্রিয় নেতা অবহেলিত শিলখালীর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্যে বারবাকিয়া থেকে শিলখালীকে আলাদা ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে শিলখালীর সার্বিক উন্নয়ন সাধিত করছিলেন। আগামীতেও আমার স্বামীর অসমাপ্ত উন্নয়ন সমাপ্ত করতে ধানের আপনারা শীষে ভোট দিন।

১০ ডিসেম্বর এডভোকেট হাসিনা আহমেদ সিকদার পাড়া নিজ বাসভবন থেকে বের হয়ে তার স্বামী বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের পিতা মাতার কবর জিয়ারতের পর শিলখালী ইউনিয়নের এতিমখানা, মাঝের ঘোনা, জারুল বুনিয়া ও সাপের ঘাড়, কাচারী মোড়া, শিলখালী হাই স্কুল ষ্টেশন, আক্কুমিয়ার কাচারী হয়ে পেঠান মতবরপাড়া হাজীর ঘোনা, চেপ্টামুড়া, আলীচান মাতবর পাড়া, আলেকদিয়া পাড়া সহ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সাথে মতবিনিময় ও পথসভা করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে এডভোকেট হাসিনা আহমেদের সাথে উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউপি’র চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ, পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি ও শিলখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মাষ্টার জুবায়ের, পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মীর মোশারফ হোসেন টিটু, উপজেলা বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউছুফ রুবেল, শিলখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সিঃ সহ সভাপতি ও শিলখালী ইউপি’র চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক কামরান জাদিদ মুকুট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, পেকুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আহছান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈনুদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল আজিম, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোছাইন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকিক মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম জাহেদ, ছাত্রদলনেতা এরশাদ, যুবদলনেতা ডা.আবদুর রহিম, শিলখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ সভাপতি আবদুর রশিদ, আবু সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, যুবদলের আবদুল আওয়াল, মোজাহেরুল ইসলাম জাহেদ, আহমদ শফি এমইউপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিজানুর রহমান, রাশেদ এলাহী, ছাত্রদলের আবদুল আলী, তরুণ প্রজন্ম দলের নুরুচ্ছফা সহ বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেট হাসিনা আহমেদের একান্ত সহকারী ছাফওয়ানুল করিম জানিয়েছেন-হাসিনা আহামেদের পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগকালে প্রথমদিনেই ব্যাপক জনসমাগম সৃষ্টি হয়। ফলে পথসভা গুলো আপনাআপনি অনেকটা জনসমাবেশ রূপ নেয়।