প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

চট্টগ্রাম মহানগরীতে বসবাসরত কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট মনোনীত প্রার্থী আলহাজ জাফর আলম।  শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর শিশু একাডেমীতে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত এবং বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দরা এই আসনে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে একযোগে মাঠে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, দেশ স্বাধীনের পর এবার নতুন করে সুযোগ এসেছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে আবারো রাষ্ট্রক্ষমতায় আনার। এজন্য সকল ধরণের ভেদাভেদ ভুলে সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ফের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সবকিছুই ম্লান করে দেবে। এজন্য কক্সবাজার-১ আসনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী জাফর আলমকে বিজয় করার কোন বিকল্প নেই।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা বিজয়ের লক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচিত কক্সবাজার-১ আসনের এমপি ডা. শামশুদ্দিন আহমদ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট মনোনীত প্রার্থী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম ইপিজেডের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউল হক, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল করিম মন্নু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মেজবাউজ্জামান, প্রফেসর ড. নূরী, চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম কলেজের প্রফেসর রেজাউল করিম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাকিম দুলাল, দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি মেজবাউদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. ভাগ্যধন বড়–য়া, ডা. সুশান্ত বড়–য়া, নাসিরাবাদ সরকারি উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এস এম গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রশীদ দুলাল, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, সিটি কলেজের ভিপি আবু তাহের, সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হান্নান, চট্টগ্রাম আইন কলেজের ভিপি মো. নোমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মনসুর আলমসহ চকরিয়া ও পেকুয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক এমপি ডা. শামশুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘৭৩ সালে প্রথমবারের মতো এই আসনে আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। কিন্ত এর পর থেকে যতবার সংসদ নির্বাচন হয়েছে একবারও আওয়ামীলীগের কেউই জিততে পারেনি। কেন জিততে পারেনি তা বলতে গেলে অনেক কথাই আসবে। তাই স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর নতুন করে সুযোগ এসেছে কক্সবাজার-১ আসনটি আওয়ামীলীগকে উপহার দেওয়ার। এক্ষেত্রে আমরা এবার মনের মতো প্রার্থীও পেয়েছি। তাই সকল ধরণের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকাকে জেতাতে এখন থেকে মাঠে নেমে পড়তে হবে। এতেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।’

চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সভাপতি লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমার বড়ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপি পর পর তিনবার নির্বাচন করে হেরেছেন। তখনকার প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। এবার যেহেতু নতুন করে সুযোগ এসেছে এবং নতুন প্রার্থীও পেয়েছি, তাই এই আসনকে হাতছাড়া করার কোন উপায় নেই। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মহজোট মনোনীত প্রার্থী জাফর ভাইকে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জিতিয়ে এনে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ গিয়ে মুখ উজ্জ্বল করতে পারবো। এজন্য যার যার অব¯’ান থেকে ইস্পাত-কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রধান অতিথি কক্সবাজার-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী আলহাজ জাফর আলম বলেন, ‘চকরিয়া-পেকুয়ার উন্নয়নের জন্য এবং বর্তমান সরকারের গৃহীত মেগাপ্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করতে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকায় ভোট দিন।’

তিনি বলেন, ‘জেলার চারটি আসনের মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। দেশ স্বাধীনের পর একবারই নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে আমাদেরই ভুলের কারণে বার বার স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এই আসনটি দখলে রেখেছিল। এর পেছনেও ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আপনাদের কাছে আকুতি জানাচ্ছি, এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আপনাদেরকে কঠিন ভূমিকা রাখতে হবে। আপনাদের ভূমিকাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।’