আবুল কালাম,চট্টগ্রাম :

নগর বিএনপির সভাপতি এবং আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের চট্টগ্রাম -৯ (কোতোয়ালী আসনের) ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে নতুন মামলায় আটক দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, মহানগর বিএনপি ভাপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নগর বিএনপি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। তিনি সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি। সরকার এক তরফাভাবে নির্বাচন করার জন্য জনপ্রিয় নেতাদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। ডা. শাহাদাতের বিরুদ্ধে ৪৫টি মামলা দেয়া হয়েছে। এখন তাকে নতুন নতুন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৬ নভেম্বর কোতোয়ালী ও সদরঘাট থানার ৩ মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেষ্ট দেখানো হলে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দেয়। গত ২ ডিসেম্বর আবার তাকে আদালতে তোলা হলে ডিভিশন দেয়ার ব্যাপারে পুনরায় নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু আজ ৬ ডিসেম্বর তাকে আদালতে আনা হলে তিনি জানান, তাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি এবং নির্জন সেলে রাখা হয়েছে। আদালত আজকে পুনরায় তাকে ডিভিশন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পুলিশ বাকলিয়া থানার ৩ মামলায় তাকে নতুন করে আবারো শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আদালত দুইবার নির্দেশ দিলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ডিভিশন না দেয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। ডা. শাহাদাত হোসেন একজন পেশাজীবি ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনের তিনি একজন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে সরকারের নির্দেশেই প্রশাসন তার প্রতি এ অমানবিক আচরণ করছে। কিন্তু জনগণ এই অত্যাচারের জবাব ৩০ ডিসেম্বর ব্যালেটের মাধ্যমে দেবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, তফসীল ঘোষণার পর প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু এখন আদালত, পুলিশ ও প্রশাসন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। চট্টগ্রামে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। সবার জন্য সমান সুযোগ নেই।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সহ-সভাপতি ইকবাল চৌধুরী ও সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক আজাদ বাঙালীসহ গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান।