শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, সদর:

অপহরণের ২০ ঘন্টার পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেল অপহৃত শ্রমিক মামুন অর রশিদ।গতরাত ৫ নভেম্বর রাত ৮ দিকে টাকা ছেড়ে দেয় বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় মেম্বার জিয়াউল হক জানিয়েছে,অপহরণের পর থেকে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে আসছিল।এক পর্যায়ে তার ৫০ হাজারে নেমে আসে।

এদিন রাতে অপহরণ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মুক্তিপণ নিয়ে যেতে বলে।তাদের কথামত অপহৃত মামুনের দুই বড় ভাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে ঢুকে পড়ে। ভাদিতলা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পুর্বে তাদের আস্তানার পাশাপাশি পৌঁছে মুক্তিপণ পরিশোধ করলে অন্য পাশ থেকে মামুনকে ছেড়ে দেয়।মামুনর রশিদ ( ২৭) ভাদিতলা এলাকার মৃত ছগির আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে। এসময় তাকে মুখ বেধে উপর্যপুরী মারধরও করা হয় বলে সকালের কক্সবাজারকে জানান মামুন।

উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বর রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভাদিতলা এলাকার পূর্বে স্লুুইচ গেইট নামক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,অপহৃত মামুন ঘটনাস্থলের অদূরে একটি কূল (বড়ই) বাগানে পাহাড়া দিচ্ছিল। এমন সময়ে মুখোশ পরিহিত ৮/১০ জনের অপহরণকারী চক্রের সদস্য এসে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।এর আগে রাত ১২ টার দিকে একই এলাকার কৃষক আবুল কালাম,আবদু রশিদ ও নুরুল হক নামের তিন জন কৃষককে ধান পাহাড়া দেয়া অবস্থায় ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে ছেড়ে দিয়েছিল। পরে মামুনকে ধরে নিয়ে তার পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে আসছিল । প্রসঙ্গত একই এলাকার থেকে মোহাম্মদ তারেক নামের এক দোকানদারকে তিন মাসে পুর্বে অপহরণ পুর্বক মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয় এ চক্রটি।

বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে, এই চক্রের সঙ্গে ঈদগাঁও কালির ছড়া পুর্ব শিয়া পাড়া এলাকার মমতাজ আহমদের ছেলে কবির আহমদ, কলেজ গেইট এলাকার গফুরের ছেলে সালিক্কা,মধ্যম দরগাহ পাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ ডাকাত সিরাজ সরাসরি জড়িত রয়েছে। উল্লেখিত কবির আহমদকে একজন ভিকটিম ছিনতে পেরে ঈদগাঁও বাশস্টেশনে আটক করছিল।এদিন স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার ২ মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।স্থানীয়দের ধারণা সেও পাহাড়ে রয়েছে। সালিক্কা নামের যুবকটি বছরের পর বছর পাহাড়ে থাকে বলে স্থানীয়রা অবগত রয়েছে। এছাড়া ডাকাত সিরাজকে অপহরণ কাজে জড়িত বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই নিশ্চিত করেছে। এলাকাবাসীর দাবী এ তিনজনকে আটক করতে পারলে অপহরণ বানিজ্য বন্ধ করা সহজ হবে।